ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: রাজভবনে (rajbhaban) রাজ্যপালের (governor) সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ''দুর্যোগে কৃষিকাজে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যবাসীর সমস্যা নিয়ে উদাসীন রাজ্য সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কথা তুলে ধরতে রাজ্যপালের কাছে এসেছি। রাজ্যে তিন জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। মালদা, নকশালবাড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুরে কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। দামি গাড়ি চড়া কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে সমস্যার কথা শুনতে পারে না। সারের কালোবাজারি রুখতে টাস্ক ফোর্স কী করেছে? ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দিক রাজ্য।''


এদিকে, তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে নেমে ভোটের লড়াইয়ে স্বামীর হারের ঘোষণাও করে দিলেন স্ত্রী।  এই ওয়ার্ডে হারবেন বিজেপি প্রার্থী, এমনই দাবি করলেন তিনি।তৃণমূল সমর্থক স্ত্রীর এই দাবিকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি প্রার্থী। তাঁর তীর্যক মন্তব্য, জ্যোতিষী নাকি?


বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রীর সমর্থন মন্তব্য তৃণমূল প্রার্থী বলেছেন,  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্মান করেন ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী।  তাই তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নেমেছেন তিনি।


 


বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রী বলেছেন, তিনি চিরদিনই বিজেপি বিরোধী এবং তৃণমূলের সমর্থক। সোশাল মিডিয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে লেখালেখিও করেন। তাঁর স্বামীর বিজেপির হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রত্যেকের এই অধিকার রয়েছে। প্রথাগত ধারনা রয়েছে যে, স্ত্রীরা ভোটের লড়াইয়ে স্বামীর পাশেই থাকবেন। কিন্তু প্রত্যেকের নিজস্ব গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। নিজের অবস্থান জানানোর প্রয়োজন মনে করেই তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমেছেন তিনি। তাঁর স্বামী বিষয়টি স্পোর্টিংলি নিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। 


৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী বলেছেন, এটা তাঁর স্ত্রীর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। তিনি নিজের লক্ষ্যে অবিচল রয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী বলেছেন, গৌরাঙ্গবাবু শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। এই বিষয়টি স্বামী-স্ত্রী এই হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। গৌরাঙ্গবাবুর স্ত্রী একজন অধ্যাপিকা। তিনি তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নেমেছেন এটাই বড় ব্যাপার।