কলকাতা : রাজ্যে তথ্য কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজেই ট্যুইট করে এ কথা জানিয়েছেন। শুভেন্দু তথ্য কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য। তিনি ট্যুইটে জানিয়েছেন, বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে জানানোয় তিনি ওই বৈঠকে অংশ নিতে পারছেন না।
ভবিষ্যতে এই ধরনের বৈঠকের ৭ দিন আগে তাঁকে জানানো হলে ভাল হয় বলে ট্যুইটে লিখেছেন শুভেন্দু। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের বৈঠকের জন্য কীভাবে সরকারি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়, তা অন্যান্য রাজ্যের থেকে বাংলার শেখা উচিত। শুভেন্দু জানান, নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির সদস্য হিসেবে আগে থেকেই প্রার্থীর নাম ও অন্যান্য দরকারি তথ্য জানার অধিকার তাঁর রয়েছে।
আজ তথ্য কমিশনার নিয়োগের বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
বাড়তি বিলের অভিযোগে ৭ হাসপাতাল-নার্সিংহোমকে জরিমানা করল স্বাস্থ্য কমিশন
সম্প্রতি একের পর এক উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। দু’দফায় সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সবক’টিতে হেরেছে তারা। বিধানসভা ভোটে জেতা দু’টি আসনও, সম্প্রতি উপনির্বাচনে হাতছাড়া হয়েছে। শেষ উপনির্বাচনে চারটি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতে, জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে, হারের জন্য EVM কারচুপির অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৯ সালে উপনির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর সদর এবং করিমপুরে হারের পর গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। আবার লোকসভা ভোটে বিজেপির উত্থানের পর, EVM কারচুপির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে পরাজয়ের ক্ষেত্রেও গণনায় কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এবার উপ নির্বাচনে পরাজয়ের পর কার্যত একই সুর বিজেপির গলায়।
রাজ্যেও পেট্রোল-ডিজেলে ভ্যাট কমানোর দাবিতে বিজেপির মিছিলে ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড ঘটে যায় সোমবার । পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিজেপি নেতা, কর্মীদের। বিজেপি রাজ্য দফতরের দু’দিকের রাস্তায় ব্যারিকেড আটকে মিছিল আটকায় পুলিশ। মিছিল আটকানো নিয়ে শুরু হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি তরজা।