সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: সামনের বছর ফেব্রুয়ারিতে খুলতে পারে টালা ব্রিজ। পরিদর্শনে গিয়ে জানালেন স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষ। চার লেনের ব্রিজ তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ৩৬৫ কোটি টাকা। তবে রেল লাইনের উপরের অংশের কাজ এখনও শুরু হয়নি।
করোনা আবহে বিধি মেনে চলছে কাজ। তৈরি হচ্ছে নতুন টালা ব্রিজ। সব ঠিকঠাক থাকলে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতেই চালু হয়ে যেতে পারে টালা ব্রিজ। শনিবার ব্রিজের কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে একথা জানালেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষ। কাশীপুর বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষ বলেন, সম্ভবত সামনের ফেব্রুয়ারিতেতে চালু হতে পারে।
উত্তর কলকাতার সঙ্গে শহরতলির অন্যতম প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম টালা ব্রিজ। ২০২০-র ৩১ জানুয়ারি মাঝরাত থেকে পুরনো টালা ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় ভাঙার কাজ। নতুন টালা ব্রিজ ৮০০ মিটার লম্বা হবে। চওড়া ১৯ মিটার। চার লেনের ব্রিজ তৈরিতে খরচ হবে ৩৬৫ কোটি টাকা। রেল লাইনের উপরের অংশের কাজ এখনও শুরু হয়নি। নতুন ব্রিজ তৈরি হলে টালা ট্যাঙ্কের জল সরবরাহের পাইপেও বদল হবে। পাইপলাইনের কিছুটা অংশের জন্য রেললাইনের উপর তৈরি হবে সেতু। এই জন্য রেলের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সেতুর উপর দিয়ে দক্ষিণের দিকে দুটি পাইপলাইন আনা হবে।
ট্রালা ব্রিজ ভাঙার পর থেকে উত্তর কলকাতা ও শহরতলির মধ্যে যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা মূলত দুটি। একদিকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে কাশীপুরের লকগেট ব্রিজ হয়ে ডানলপে গাড়ি যাতায়াত করছে। আবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শ্যামবাজার, আর জি কর রোড হয়ে পাইকপাড়ায় চলে যাচ্ছে কিছু গাড়ি। টালা ট্যাঙ্ক থেকে যে পাইপের মাধ্যমে উত্তর কলকাতায় জল সরবরাহ করা হয়, সেই পাইপ রেললাইনের নীচ দিয়ে এসেছে। আগামী দিনে রেল ওভারব্রিজ করে সেই পাইপ মাটির উপর দিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অতীন ঘোষ।