কলকাতা : কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipality Election) ফলাফলে কার্যত বিপর্যস্ত বিজেপি (BJP)। আর ফলাফলের পরেই দিনই ফের রাজ্য বিজেপিকে আক্রমণ তথাগত রায়ের (Tathagata Roy)। গেরুয়া শিবিরের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তাঁর গতমাসের 'বিজেপি ছাড়ার' ট্যুইটকে রি-ট্যুইট করে লিখেছেন, 'প্রতীক্ষা শেষ, আশঙ্কা সত্য হল'।


কলকাতা পুরভোটের ফলাফলে দেখা গিয়েছে সবুজ সুনামি। ১৪৪ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৪টিতেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এদিকে, জয়ী তিন নির্দল প্রার্থী ইতিমধ্যে রাজ্যের শাসকদলেব যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। পুরভোটে বিজেপির একধাক্কায় তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা নেমে গিয়েছে তিন-এ। শুধুমাত্র মীনাদেবী পুরোহিত (২২ নম্বর ওয়ার্ড), বিজয় ওঝা (২৩ নম্বর ওয়ার্ড) ও সজল ঘোষ (৫০ নম্বর ওয়ার্ড) ছোট লালবাড়িতে বিরোধী শিবিরে বসবেন ছোট লালবাড়িতে। তাদের সঙ্গী হবেন দু'জন করে কংগ্রেস ও বাম কাউন্সিলর। আর পুরভোটে বিজেপি-র খারাপ ফলাফলের জন্য ফের একবার রাজ্য নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তথাগত রায়।


প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর তথাগত রায় ট্যুইট করেছিলেন, "কারুর কাছ থেকে বাহবা পাওয়ার জন্য আমি ট্যুইটগুলো করছিলাম না। দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী-কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন, সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করেছিলাম। এবার ফলেন পরিচিয়তে। পুরভোটের ফলের জন্য প্রতীক্ষায় থাকব। আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি।" যে ট্যুইটের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকলেও রাজনৈতিকভাবে সেভাবে সামনে আসেননি একাধিক রাজ্যে রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করা তথাগত রায়।






প্রসঙ্গত, বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায় ২০০২ থেকে ২০০৬ অবধি রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন। বিজেপির উচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি অর্থাৎ বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির ১৩ বছরের সদস্য। ত্রিপুরা, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশের মত রাজ্যে তাঁকে রাজ্যপাল নিয়োগ করেছিল মোদি সরকার। বিজেপির এহেন গুরুত্বপূর্ণ ও বর্ষীয়ান নেতা, লাগাতার বিধানসভা ভোটের টিকিট বণ্টনে নারী ও অর্থের ভূমিকার অভিযোগ করে চলেন ! আর বিজেপির নেতৃত্ব প্রকাশ্যে তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। চলতে থাকা পরিস্থিতির মাঝে ফের একবার রাজ্য বিজেপি নেতাদের উদ্দেশে ট্যুইটে কটাক্ষ ছুড়লেন তথাগত রায়।


আরও পড়ুন- "বাংলার রাজনৈতিক বিনোদন জগতে এক অপূরণীয় সাময়িক ক্ষতি,'' তথাগতকে আক্রমণ কুণালের