E-Ration Card Update: রেশন কার্ড হাতে না পেলে চিন্তা নেই। এসে গেছে ই-রেশন কার্ড(E-Ration Card)। আপনার ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন মঞ্জুর না হলেও ভয় পাবেন না। এই সহজ উপায়ে এক ক্লিকেই হাতে আসবে আপনার E-Ration Card। বর্তমানে যা ডিজিটাল রেশন কার্ডের (Digital Ration Card) সমতুল্য।


E-Ration Card -এর জন্য কীভাবে আবেদন করবেন ?


১ কারও যদি ডিজিটাল রেশন কার্ড (Digital Ration Card)না থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি নতুন করে ই-রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এই কাজ করতে প্রথমে www.food.wb.in-এ গিয়ে সার্ভিসেস মেনুতে ক্লিক করুন। এবার নতুন রেশন কার্ড পেতে Ration Card অপশনে ক্লিক করতে হবে আপনাকে।


২ কারও যদি ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকে সেই ক্ষেত্রে আপনি অফলাইনে ফুড ইনস্পেকটরের অফিসে গিয়ে নতুন ই-রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। 
যাদের মোবাইল নম্বর বর্তমান ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে- তাদের www.food.wb.in-এ গিয়ে মোবাইল নম্বর দিয়ে লগ ইন করতে হবে। এবার তার মোবাইলে একটি OTP আসবে। এখানে আপনাকে ফর্ম ১১ পূরণ করতে হবে। যা ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার ও মোবাইল নম্বরকে লিঙ্ক করাবে। এবার আপনার আবেদন গ্রাহ্য হলে মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানতে পারবেন।


৩ যাদের ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যুক্ত নেই-তাদের ফুড ইনস্পেকটরের অফিসে গিয়ে ফর্ম ১১ (যা ডিজিটাল রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার ও মোবাইল নম্বরকে লিঙ্ক করাবে)। এই ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষের সম্মতি আপনাকে SMS-এর মাধ্যমে জানানো হবে।



E-Ration Card কীভাবে পাবেন ?
এই ক্ষেত্রে SMS-এর মধ্যেই থাকবে E-Ration Card পিডিএফ ডাউনলোডের সুযোগ।
এ ছাড়াও একবার E-Ration Card-এর আবেদন গ্রাহ্য হলে আবেদনকারী www.food.wb.in-এ লগ ইন করতে পারবেন। 
সেখানে OTP গ্রাহকের RMN-এ আসবে। সেখানে নিজের সঙ্গে পরিবারের E-Ration Card দেখতে পারবেন গ্রাহক। এখান থেকে 
পরিবারের সবার E-Ration Card যেকোনও সময় ডাউনলোড করা যাবে।


E-Ration Card Verify: কীভাবে যাচাই করবেন কার্ড ?
www.food.wb.in-এ গিয়ে Verify Ration Card-এ ক্লিক করুন। তাহলেই জেনে যাবেন সবকিছু। 


E-Ration Card Benefits :  ই রেশন কার্ডের সুবিধা


১ ই-রেশন কার্ড খাদ্য দফতরের ছাপানো রেশন কার্ডে মতোই বৈধ।


২ ই-রেশন কার্ড দেখিয়ে উপভোক্তা ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে প্রাপ্য সামগ্রী নিতে পারবেন। কেরোসিন তেলের দোকান ঠিক করার জন্য খাদ্য পরিদর্শকের অফিসে একবার যেতে হবে। 







৪ যারা ইতিমধ্যেই ই-রেশন কার্ড পেয়েছেন অথচ e-kyc করেননি তারা যেকোনও রেশন দোকানে বা যেকোনও সহায়তা কেন্দ্রে অথবা যেকোনও খাদ্য পরিদর্শকের অফিসে e-kyc করিয়ে নিতে পারবেন।


৫ ই-রেশন কার্ডের ছবি মোবাইলে দেখালে ই-পস মেশিনের আঙুলের চাপের মাধ্যমে শনাক্ত করে ডিলার উপভোক্তাকে তার প্রাপ্য সামগ্রী দেবেন।যদি কোনও বিশেষ কারণে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে শনাক্তকরণে সমস্যা হয়, তবে মোবাইলে ওটিপির মাধ্যমে শনাক্তকরণ করা যাবে।কেরোসিন ডিলার তার রেজিস্টার ব্যবহার করে কেরোসিন তেল দেবেন। উভয়ের ক্ষেত্রেই ডিলারের রসিদ দেওয়ার বিষয়টা (টাকার লেনদেন না হলেও) বাধ্যতামূলক। 


৬ ডাউনলোড করা রেশন কার্ড চাইলে আপনি যেকোনও জায়গা থেকে ডাউনলোড করে সাদা কাগজে বা পিভিসি-তে ছাপিয়ে নিতে পারেন। যদিও খাদ্য দফতরেরে তরফে উপভোক্তা ছাপানো রেশন কার্ড পরে পাবেন। 


৭ ই-রেশন কার্ডের বৈধতা খাদ্য দফতরের ওয়েবসাইট www.wb.gov.in/RCVerification.aspx-থেকে যাচাই করা যেতে পারে।