সৌমিত্র রায়, কলকাতা : একে করোনার ধাক্কা। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে বর্ধিত জিএসটির গুঁতো! সাঁড়াশি চাপে, সঙ্কটে বস্ত্রশিল্প। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই সমস্যার কথাই তুলে ধরলেন বস্ত্র ব্যবাসীরা।


বস্ত্রশিল্পে জিএসটির হার ছিল ৫ শতাংশ। সম্প্রতি তা বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করেছে কেন্দ্র। নতুন হারে জিএসটি লাগু হবে ২০২২-এর জানুয়ারি থেকে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে বস্ত্র ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলা রেডিমেড গারমেন্টস ম্যানুফ্যাকটারার্স অ্যামন্ড ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন- বা BRGMTWA। 


BRGMTWA -র প্রেসিডেন্ট, আলমগীর ফকির জানালেন, '৭ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় বস্ত্র শিল্পে প্রভূত ক্ষতির সম্ভাবনা। এর ফলে ক্রেতাদের ওপর চাপ বাড়বে। বেকারত্বও বাড়বে। ' 


ব্যবসায়ীদের দাবি, এর জেরে সঙ্কটে পড়বে বস্ত্র শিল্প ও শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অশোক টোডি জানালেন, দাম বাড়লেই বিক্রি কমবে। সেক্ষেত্রে প্রোডাকশনও কমে যাবে । সরকারের কাছে করজোড়ে অনুরোধ, যেন এটা না করে।)>>


ওয়েস্ট বেঙ্গল গারমেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (WBGMDA)- এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজয় কারিওয়ালার আক্ষেপ, 'করোনায় ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। বস্ত্র অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। এর দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বে।'


করোনা পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সঙ্কটের মুখে বস্ত্র শিল্প। এই পরিস্থিতিতে বর্ধিত জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি।