কলকাতা: অভিমানীদের বুঝিয়ে দলে ফের সক্রিয় করতে হবে। ভোটে হারের পর নির্দেশ বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানো এবং বিভিন্ন ইস্যুতে দলকে রাস্তায় নামতে প্রস্তুত রাখাতে হবে। নির্দেশ কেন্দ্রীয় নেতাদের।


বিধানসভা ভোটে হারের পর থেকেই আদি-নব্য বিবাদ মাথাচাড়া দিয়েছে বিজেপির অন্দরে। এই প্রেক্ষাপটে অভিমানীদের দলে ফেরাতে সক্রিয় হওয়ার জন্য, নির্দেশ দেওয়া হল গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক বৈঠকে। 


ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা এবং ভোট পরবর্তী সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার একটি বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির সহকারি পর্যবেক্ষক শিবপ্রকাশ। সেখানে রাজ্যস্তরের বিজেপি নেতারা ছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন ১৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও দলের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা। সেই বৈঠকেই নির্দেশ দেওয়া হয়, দলের ওপর অভিমান করে যাঁরা দূরে সরে গিয়েছেন, তাঁদের বুঝিয়ে ফের সক্রিয় করতে হবে। 


অভিমানীদের অভাব-অভিযোগ শুনে তাঁদের মান ভাঙানোর চেষ্টা করতে হবে। ভোট পরবর্তী অশান্তি নিয়েও একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। বলা হয়েছে, রাজ্যে আক্রান্ত দলীয় কর্মী সমর্থকদের পাশে সর্বশক্তি দিয়ে দাঁড়াতে হবে। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর বিষয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। 


ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে আগামীদিনের কর্মসূচি নিয়ে বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সাধারণ মানুষের সমস্যা তুলে ধরে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিতে হবে।


দলকে সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে করোনাআবহ কেটে গেলেই বিভিন্ন ইস্যুতে রাস্তায় নামানো যায়।  যদিও, বিজেপির এসব কর্মসূচিকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।


বৃহস্পতিবারই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্যর মতো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সূত্রের দাবি, সেখানে সদ্য তৃণমূল থেকে সদ্য আসা নেতাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় কারণেই বিধানসভা ভোটে ফল এত খারাপ হয়েছে বলে দাবি করে রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ।