Newtown IT Employee Death: তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২১ বছরের যুবকের পচাগলা দেহ

দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা।

Continues below advertisement

সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: নিউটাউনে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। শনিবার সন্ধে নাগাদ বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। এদিন বিকেল নাগাদ সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এরপর দরজা ভেঙে দেখা যায় বসার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে যুবকের দেহ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খুন নাকি আত্মহত্যা তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। সূত্রে খবর ওই যুবকের সঙ্গে আরও ২ যুবক থাকত, ওই ২ যুবকের খোঁজ চলছে।

Continues below advertisement

 

সূত্রের খবর, গত কয়েকমাস ধরেই নিউটাউন থানা এলাকায় চন্ডীবেড়িয়ার এই বিল্ডিং-এর দোতলায় ১০৭ নম্বর ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন ওই যুবক। একুশ বছরের খুফাইজা সিদ্দিকি বিহারের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ২১-এর ওই যুবকের সঙ্গে এই ফ্ল্যাটে আরও দু-জন থাকতেন। অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, আনুমানিক দু-তিন দিন ধরেই এই ফ্ল্যাটের মধ্যে পড়েছিল যুবকের মৃতদেহ। তাহলে এই সময়ে কোথায় ছিলেন বাকি রুম মেটরা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

ইতিমধ্যেই যুবকের বিহারের বাড়িতে খবর দিয়েছে পুলিশ। দু-একদিনের মধ্যেই কলকাতা পৌঁছবে মৃতের পরিবার। প্রাথমিকভাবে অনুমান আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। তবে কী কারণে মৃত্যু এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মিললেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। মৃত যুবকের পরিচিত বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিউটাউন থানার পুলিশ।

কিছুদিন আগেই বাকপোতার সরশুনায় এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সূত্রের খবর বাড়িতে একাই থাকতেন বুলা সরকার নামে বছর ৫৫-র ওই ব্যক্তি। পরিবারের বাকিরা অর্থাৎ তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও জামাই বাড়িতে ছিলেন না। দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কাজেই বাড়ি বন্ধই ছিল। 

১১ জুলাই সকালে এই বাড়িতে পচা গন্ধ বের হতে দেখে স্থানীয়রা সরশুনা থানায় খবর দেন। এর পর পুলিশ এসে বাড়ির তালা ভেঙে বুলা সরকার নামে ওই ব্যক্তির পচা গলা দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই আর্থিক অনটনে ছিল এই পরিবার। সংসার টানতে রিক্সা চালানোর পাশাপাশি ক্যাটারিং-এ  হেলপারেরও কাজ করতেন বুলা। 

তবে লকডাউন পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে, বন্ধ হয়ে যায় সব কাজ। কর্মসংস্থান খুইয়ে কার্যত পথে বসতে হয় সরকার পরিবারকে।  প্রতিবেশিদের অনুমান, আর্থিক অনটনের জন্য খাওয়া-দাওয়ারও অভাব হচ্ছিল। বাড়িতেও অশান্তি চলছিল। ৪ দিন ধরে বাড়িতে একা ছিলেন ওই ব্যক্তি। কেউ থাকে বেরোতেও দেখেননি বলে জানিয়েছেন। কাজেই না খেতে পেয়েই মৃত্যু বলে জানা গিয়েছে।  উল্লেখ্য এই সময় পর্বে বেশ কিছু দেহ উদ্ধার হয়েছে বন্ধ বাড়িতে। পরপর মৃত্যুর খবর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola