কলকাতা: ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের টাকা ফিরিয়ে দিতে, সারদা মামলায় কমিটি গঠনের চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা হাইকোর্ট। কমিটি গঠন করে আমানতকারীদের টাকা ফেরানো যায় কিনা, সে বিয়ষেও সিবিআই-কে জানাতে বলল হাইকোর্ট।
শ্যামল সেন কমিশনের ১৩৮ কোটি টাকা, আমানতকারীদের কেন দেওয়া যাবে না? কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও কেন বিচারপতিদের হাতে পৌঁছয়নি? সারদা-মামলায়, মঙ্গলবার এই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। সারদা কেলেঙ্কারিতে ২ হাজার ৪৬২ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শ্যামল সেনের নেতৃত্বে কমিশন গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু, এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ, সরকারপক্ষের আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, মেয়াদ শেষের সময় শ্যামল সেন কমিশনের কাছে ১৩৮ কোটি টাকা গচ্ছিত ছিল। যা রাজ্য সরকার ব্যবহার করেছে। সেই টাকা কেন আমানতকারীদের দেওয়া যাবে না?
শ্যামল সেন কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে রয়েছে। এ নিয়েও কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, ওই রিপোর্ট এখনও বিচারপতিদের হাতে পৌঁছয়নি কেন?
এর আগে অর্থলগ্নি সংস্থা MPS-এর আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর জন্য, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এসপি তালুকদারের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সারদার আমানতকারীদের টাকা ফেরাতেও এক সদস্যের কমিটি গড়ার চিন্তাভাবনা করছে আদালত। সারদার বিভিন্ন সম্পত্তি বিক্রি করে এবং ব্যাঙ্কে থাকা টাকা CBI-এর অধীনে রয়েছে।
এক সদস্যের কমিটি গঠন হলে, সেই টাকা আমানতকারীদের ফেরানো যায় কিনা, সিবিআই-এর আইনজীবীর কাছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ২৯ জুলাই। সেদিনই এই কমিটি গড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, এর আগেও হাইকোর্টের নির্দেশে সারদা মামলায় আমানতকারীদের টাকা ফেরানো নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটির তত্ত্বাবধানে বেশ কিছু আমানতকারীকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছিল।