পার্থপ্রতিম ঘোষ ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা: মুখ চেপে দমবন্ধ করে খুন (Murder) করা হয় কলকাতার থিয়েটার রোডের (Theatre Road) বৃদ্ধাকে। বিছানায় উপুড় হয়ে পড়েছিল রক্তাক্ত মৃতদেহ। উধাও নিহতের গয়না, মোবাইল ফোন। লুঠের উদ্দেশ্যে খুন বলে সন্দেহ পুলিশের। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। তালিকা তৈরি হচ্ছে পরিচিতদের। 


থিয়েটার রোডের বহুতলে বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু। বিছানায় উপুড় হয়ে পড়েছিল রক্তাক্ত মৃতদেহ। উধাও নিহতের গয়না, মোবাইল ফোন। খুন বলে অনুমান পুলিশের। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage)। তালিকা তৈরি হচ্ছে পরিচিতদের।


দ্বাদশীতে গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে খুন হন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ি চালক। দু’সপ্তাহ পর, আবারও রহস্যমৃত্যুর ঘটনা ঘটল খাস কলকাতার বুকে। এবারের ঘটনাস্থল শেক্সপিয়র সরণি থানার থিয়েটার রোডের এই অভিজাত আবাসন। মঙ্গলবার সকালে দশতলার ঘর থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ।


মৃত রেণুকা চৌধুরী একসময় শিক্ষকতা করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, শোওয়ার ঘরে বিছানায় উপুড় হয়ে পড়েছিল বৃদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ। তাঁর মুখের পাশ থেকে বেরোচ্ছিল রক্ত। বিছানার চাদরে রক্তের দাগ মিললেও বাইরে থেকে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।


সকালে ব্যাডমিন্টন খেলতে যান ছেলে, ঘরে ফিরে এসে মায়ের সংজ্ঞাহীন দেহ দেখেন ছেলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২ বছর আগে মারা যান বৃদ্ধার স্বামী। ছোট ছেলে কর্মসূত্রে থাকেন আমেরিকায়। পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বড় ছেলেকে নিয়ে দু’হাজার স্কোয়ার ফিটের এই ফ্ল্যাটে থাকতেন রেণুকা চৌধুরী।


তাঁদের দেখভালের জন্য রয়েছেন এক পরিচারক। তিনি পাশেই সার্ভেন্ট কোয়ার্টারে থাকেন।


আর এতেই পুলিশের অনুমান, লুঠের উদ্দেশ্যেই খুন করা হতে পারে বৃদ্ধাকে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা, ডিসি ডিডি স্পেশাল। চলে আসে লালবাজারের গোয়েন্দা দল, হোমিসাইড শাখা ও সায়েন্টিফিক উইং।


আপাদমস্তক নিরাপত্তায় মোড়া অভিজাত এই আবাসন। আর এতেই বেশ কিছু বিষয় ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। বহুতলের ফ্ল্যাটে কাদের যাতায়াত ছিল? সন্দেহভাজন কেউ কি ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল? কে ফ্ল্যাটের দরজা খুলেছিলেন?


পুলিশ সূত্রে খবর, রহস্য উদ্ঘাটনে তালিকা তৈরি হচ্ছে নিহতের পরিচিতদের। আগে কাদের ওই পরিবারের যোগাযোগ ছিল খোঁজ চলছে তাদেরও। ওই পরিচিতদের মধ্যে সোমবার রাতে কেউ এসেছিলেন কিনা তাও দেখছেন তদন্তকারীরা।  এদিকে, ওই বহুতলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।