কলকাতা: এক সময় মহাকরণ ছিল রাজ্যের প্রশাসনিক কাজের সদর দফতর। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে না থাকলেও, এখনও কড়া সুরক্ষা বলয়ে মোড়া দেড়শো মিটার দীর্ঘ এই আইকনিক বিল্ডিং।
আর সেখানেই হানা দিল চোর। খোদ মহাকরণেই সিঁধ কেটে কম্পিউটার হাতিয়ে নিল চোর। পুলিশ ও মহাকরণ সূত্রে খবর, দুটি কম্পিউটারের একটি চুরি গিয়েছে বিচার বিভাগীয় দফতরের কর্মী সৌমিত্র মণ্ডলের টেবিল থেকে।
আরেকটি চুরি গিয়েছে ওই দফতরেরই আরটিআই সেল থেকে। দুই সেলই পাশাপাশি অবস্থিত। ২৫ জুন শেষবারের মতো কাজ হয়েছিল ওই দুটি কম্পিউটারে।
বুধবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মহাকরণের সেকশন অফিসার দীপ্তজিত্ শূর। পুলিশ সূত্রে খবর, ডেস্কটপের সঙ্গে খোয়া গিয়েছে সিপিইউ, মনিটর, কী বোর্ড ও মাউস।
প্রিন্টার চুরি যায়নি। কোথাও কোনও তালা ভাঙা হয়নি। সংস্কারের কর্মকাণ্ডের মধ্যেই মহাকরণের ভিতরে ও বাইরে কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন থাকে। রাতে থাকেন কেয়ারটেকার। তারপরেও কীভাবে চুরি, তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
মহাকরণে আইনমন্ত্রীর ঘর থেকে চুরি প্রসঙ্গে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেন, সিবিআই তল্লাশির হাত থেকে বাঁচতেই আইনমন্ত্রীর অফিসে চুরির গল্প ফাঁদা হচ্ছে।
এটা কি নিছক কম্পিউটার চুরি না কি সরকারি তথ্য হাতানোর পরিকল্পনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এদিকে, মহাকরণের কর্মীদের একাংশের দাবি, এই প্রথম নয়। দুমাস আগেও চুরি হয়েছে। আগের কম্পিউটারের হদিশ এখনও মেলেনি। তার মধ্যেই আবার চুরি মহাকরণে।
এদিকে, দু’একদিনের মধ্যে ৩টি চুরির কিনারা করল হরিদেবপুর ও বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। কোথাও পুলিশ গোপন সোর্স মারফত অভিযুক্তর খোঁজ পেয়েছে। কোথাও আবার অভিযুক্তকে ধরিয়ে দিয়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ।
হরিদেবপুরের কবরডাঙার বাগানপাড়া এলাকায় প্রসেনজিত্ সিংহের বাড়িতে বৃহস্পতিবার চুরি হয়। শুক্রবার ভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকা থেকে অভিযুক্ত শিবশঙ্কর রাজবরকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া সামগ্রী।
সল্টলেকের বিই ব্লকে গত ১০ দিনে ৩টি বাড়িতে চুরি হয়। পুলিশ খতিয়ে দেখে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ২১ বছরের তরুণ শুভেন্দু বাউড়িয়া জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে চুরির কথা স্বীকার করে।