কলকাতা: রাজ্যে মঙ্গলবার থেকে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে। ক্লাস চালু হচ্ছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়েরও। ধাপে ধাপে সব শ্রেণির ক্লাস শুরুর ভাবনা শিক্ষা দফতরের। করোনা পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।


মঙ্গলবার থেকে সরকারি স্কুলের (Government School) সঙ্গে রাজ্যে খুলছে বেসরকারি স্কুলও (Private School)। কোনও স্কুলে শিফটে ক্লাস, কোথাও একসঙ্গে অনলাইন-অফলাইন (Online-Offlone) ক্লাস।


এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জানিয়েছিলেন 'পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন অভিভাবকরাই'। এ দিন তিনি জানান, যে অভিভাবক চাইবেন তিনি তাঁর সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন, যে অভিভাবক চাইবেন না তিনি তাঁর সন্তানকে পাঠাবেন না। কোভিড নিয়ে ভীতি থাকতেই পারে। এ বিষয়ে তাঁদের কোনওরকম জোর করবে না সরকার (West Bengal Government)। এক্ষেত্রে পড়ুয়াদে অ্যাটেনডেন্স সংক্রান্ত কোনও সমস্যাও হবে না বলে স্পষ্ট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Education Minister Bratya Basu)।  


বৃহস্পতিবার তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দফতরে স্কুল স্যানিটাইজেশনের মতো যে সব কোভিড বিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা রয়েছে, তা পালন করা হচ্ছে।' 


মডার্ন হাই (Modern High), গোখেল মেমোরিয়াল ফর গার্লস (Gokhel Memorial for Girls), ভারতীয় বিদ্যাভবনের (Bharatiya Vidya Bhavan) মতো বেসরকারি স্কুলে মঙ্গলবার থেকে, অফলাইন ক্লাস শুরু হচ্ছে না।  ক্যালকাটা গার্লস স্কুল (Calcutta Girls School), ডন বস্কো পার্ক সার্কাস(Don Bosco Park Circus), ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুল (Future Foundation School), ডিপিএস রুবি পার্কের (Delhi Public School Ruby Park) মতো কিছু স্কুলে শুধুমাত্র নবম ও একাদশের অফলাইন ক্লাস শুরু হচ্ছে।  শুধু দশম শ্রেণির ক্লাস শুরু হচ্ছে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে (South Point School)। লা মার্টিনিয়ার (La Martiniere), বালিগঞ্জ শিক্ষা সদনের (Ballygunge Shiksha Sadan) মতো স্কুলে শুরু হচ্ছে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশের ক্লাস। কোনও কোনও স্কুল একইসঙ্গে অফলাইন এবং অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা রাখছে।  


উল্লেখ্য, স্কুল খোলা নিয়ে যাবতীয় আইনি জট কেটে গিয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর থেকেই খুলছে স্কুল। রাজ্যের সিদ্ধান্ত বহাল রাখল হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। রাজ্য ২৯ অক্টোবর যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তা মেনেই স্কুল খুলবে বলে জানিয়ে দিল আদালত। সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছেন বলে কোনও শিক্ষক বা পড়ুয়া মনে করলে, তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন বলেই জানিয়েছে হাইকোর্ট। 


ঢোকার সময় ধাক্কাধাক্কি এড়াতে স্কুল টাইমের মধ্যেই অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করা হয়েছে, জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। স্কুল টাইমে ১০ মিনিট করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারও চালানো হবে।