ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: আবারও রাতের কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। গতকাল, শনিবার রাত ১২টা নাগাদ টালিগঞ্জের অশোকনগর বাজারের এক নির্মীয়মাণ চারতলা বাড়ির দোতলায় আগুন লাগে। দোতলায় মজুত ছিল কাঠ, বাঁশ, প্লাইউডের মতো একাধিক দাহ্য পদার্থ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। এরপর দমকলের ৩টি ইঞ্জিনের প্রায় মিনিট পঁয়তাল্লিশের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। নির্মীয়মাণ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে ওখানে প্রায়ই বসত নেশার আসর। সেখান থেকেই আগুন লেগে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ।



কিছুদিন আগেই নবান্নের (Nabanna) কাছে শিবপুর ব্যাতাইতলায় পিডব্লুডি অফিস (PWC Office) ও গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গোডাউনে রাখা দাহ্য পদার্থে আগুন লেগে যায় (Howrah Fire)। জানা যায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। 


দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। মুহূর্তের মধ্যে ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রতিমার কাঠামো। শুক্রবার সন্ধে সোওয়া ছ’টা নাগাদ, শিবপুরের ব্যাতাইতলায় আগুন লাগে। যেখান থেকে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নের দূরত্ব মাত্র ৫০ মিটার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ত দফতরের অফিসের পাঁচিলের বাইরে, ডাঁই করা রাখা ছিল প্রতিমার কাঠামো, খড়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। 


আরও পড়ুন: Bankura News: বাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু দম্পতির, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ছেলে ও মেয়ে


ব্যাতাইতলার এক বাসিন্দা জানান, এখানে ঠাকুর তৈরি হত, পিডব্লুডির অফিস। অফিসে বাউন্ডারির বাইরে আগুন লেগেছে। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে মন্দিরতলা যাওয়ার রাস্তার নীচে জড়ো করে রাখা কাঠামোর আগুন পৌঁছে যায় পূর্ত দফতরের অফিস চত্বরে। অফিসের বাইরে পড়ে থাকা তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দফায় দফায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। 


গত ৭ নভেম্বর শহরে জোড়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে (Fire at kolkata)। ট্যাংরায় (Tangra) ভস্মীভূত হয়ে যায় ৩টি গুদাম। শোভাবাজারে (Sovabazar) পুড়ে যায় একটি টালির বাড়ি। কিছুদিন আগে রাত ৩ টে নাগাদ প্রথমে ট্যাংরার পিলখানা রোডে প্লাস্টিকের স্ক্র্যাপের গুদামে আগুন লাগে। তা ছড়িয়ে পাশের আরও ২টি গুদামে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিনের ঘণ্টা-দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেও পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৩টি গুদাম।