সন্দীপ সরকার, কলকাতা: অন্যান্য সরকারি কর্মীদের মতো সমহারে বেতন ও বদলির নির্দেশের প্রতিবাদে গতকাল রাস্তায় নামলেন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের কয়েক হাজার নার্স (Nurse Protest)।  এসএসকেএম (SSKM) থেকে বেরিয়ে রবীন্দ্র সদন Rabindrasadan) মোড়ে কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধও করেন তাঁরা। এই মহামিছিলের ডাক দিয়েছিল  নার্সেস ইউনিটি (Nurses Unity)। 


নার্সদের বদলির নির্দেশের প্রতিবাদে দু’দিন ধরে এসএসকেএমের  (SSKM) নার্সিং সুপারকে ঘেরাও। হাসপাতাল চত্বরে অনশন (Hunger Strike)। তারপর অবস্থান বিক্ষোভ। একের পর এক কর্মসূচির পর এবার রাস্তায় মহামিছিল, অবরোধে নামল নার্সদের সংগঠন। সোমবার দুপুরে এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে রবীন্দ্রসদন চত্বরে এভাবেই প্রতিবাদ জানান বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের কয়েক হাজার নার্স।    


অন্যান্য সরকারি কর্মীদের মতো সমহারে বেতনের দাবিতে ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া ৩৫ জনকে বদলির প্রতিবাদে নার্সেস ইউনিটি (Nurses Unity) ডাক দিয়েছিল এদিনের মহামিছিলের। রবীন্দ্র সদন (Rabindra Sadan), বিড়লা তারামণ্ডল (Birla) ঘুরে মিছিল শেষ হয় এসএসকেএমে (SSKM)। কিছুক্ষণের জন্য অবরোধ করা হয় রবীন্দ্র সদন মোড়।  


নার্স সংগঠনের অভিযোগ, আন্দোলনে অংশ নেওয়া ৩৫ জন নার্সকে প্রতিহিংসামূলক বদলি করা হয়েছে।  বদলি হওয়া ওই ৩৫ জনের মধ্যে ১১ জন এসএসকেএম (sskm) কর্মরত। ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata Highcourt) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।  আদালত সূত্রে খবর, আবেদনকারী  কলকাতা ইউথ ফ্রন্টের তরফে বলা হয়েছে, হাসপাতাল চত্বরে এভাবে আন্দোলন চলতে পারে না।  এতে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটছে।  আদালত হস্তক্ষেপ করুক। আজ মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা । 


উল্লেখ্য, সম্প্রতি কর্তব্যরত নার্সকে অপহরণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে যুব তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল রাতে মালদা’র (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধেয় এক রোগীকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান ব্লক যুব তৃণমূল সম্পাদক জিয়াউর রহমান। চিকিৎসক ব্যস্ত থাকায়, কর্তব্যরত নার্স তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন। অভিযোগ, একথা শুনে উত্তেজিত হয়ে ওই নার্সকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন জিয়াউর। এমনকী, অপহরণের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আতঙ্কিত হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স  ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। রাতেই অভিযোগ জানানো হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যদিও, এখনও পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।