প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: কয়লা ও বাঘ পাচারকাণ্ডে রাজ্যে অভিযানে সিবিআই ও ইডি। 


হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। কলকাতা থেকে বিদেশে বাঘ, বাঘের বাচ্চা-সহ একাধিক বন্যপ্রাণ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলার তদন্তে নেমেই এই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে তারা। সূত্রের খবর, এই বন্যপ্রাণ পাচারের সঙ্গে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন জড়িত রয়েছে। পাচারচক্রের হদিশ পেতেই উঠেপড়ে লেগেছে ইডি।


কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মাসকয়েক আগে বিদেশে ব্যাঘ্রশাবক পাচারের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করে বন দফতর। সেই মামলার তদন্তভার নেয় ইডি। তার প্রেক্ষিতেই আজ তল্লাশি অভিযান চলছে।


অন্যদিকে,  কয়লাকাণ্ডে কলকাতার থিয়েটার রোড, দুর্গাপুর, আসানসোল, কুলটি-সহ ৫টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই অফিসাররা। সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা পাচারকাণ্ডে কলকাতা ছাড়া আসানসোল, দুর্গাপুর, বরাকর-সহ মোট ৫টি এলাকায় তল্লাশি চলছে।


মূলত এক লৌহ ইস্পাত শিল্পগোষ্ঠীর মালিক অমিত আগরওয়াল ও সনু আগরওয়ালের খোঁজে নেমেছে সিবিআইয়ের দল। এই দুই ভাই কুলটির বরাকরের আদি বাসিন্দা। তাঁদের ঝাড়খণ্ড, দুর্গাপুর, কাঁকসা, বাঁকুড়ায় ১৩-১৪টি কারখানা রয়েছে।


সূত্রের খবর, সেই লৌহ ইস্পাত কারখানার চালাতেই লালার কাছে থেকে ওই কয়লা কিনত বলে খবর।


কয়লাকাণ্ডে আগেই অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। গতকাল অভিষেকের শ্যালিকার স্বামী অঙ্কুশ অরোরা ও শ্বশুর পবন অরোরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।


সোমবার, দু’জনকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়। দীর্ঘক্ষণ, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে দাবি, মেনকা গম্ভীর বলেন, স্বামী শ্বশুর অ্যাকাউন্টের ফর্মে সই করায়, তারা কী করেছে জানি না। সেই কারণেই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 


বঙ্গ ভোটের প্রচারে এসে রানিবাঁধের সভা থেকে কয়লা ইস্যুতে ফের তৃণমূলকে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, তৃণমূল সরকার অনুপ্রবেশ রুখতে পারেনি, বাংলায় কয়লা পাচার হচ্ছে অবাধে, কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তৃণমূল। ক্ষমতায় সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি।


সবমিলিয়ে ভোটের মুখে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্ত ঘিরে উত্তাপ দিনে দিনে বাড়ছে।