সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট-যুদ্ধে এখনও বেশ কয়েকমাস বাকি। তার আগেই শুরু হয়ে গেছে ডিজিটাল-ফাইট।বিজেপি...তৃণমূল...থেকে সিপিএম-কংগ্রেস - পিছিয়ে থাকতে চাইছে না কেউই। রাহুল গান্ধীর ঘৃণার পরিবর্তে 'মুহাব্বত কি দোকান' সোশাল মিডিয়ায় সেনসেশন ছড়িয়েছিল। GEN Z ও মিলেনিয়ালের মধ্যে প্রচারের ব্যপ্তি বাড়াতে, ইন্সটাগ্রাম-সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ডিং মিম, রিলস, স্ট্যাটিক পোস্টের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের বক্তব্যের অসঙ্গতি তুলে ধরা হচ্ছে। এরইসঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই নিজের ও প্রতিপক্ষের অবস্থা যাচাই করতে সমীক্ষা করাও শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো! তাদের নিযুক্ত বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থার কর্মীদের ফোন পাচ্ছেন ভোটাররা! তা নিয়ে আবার উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে হুলস্থুল বেধে গেছে।তাঁদের অভিযোগ, প্রশ্ন করা হচ্ছে, ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে কাকে ভোট দিয়েছেন? ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেই বা কাকে ভোট দিয়েছেন? ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে কাকে ভোট দেবেন?
আরও পড়ুন, আতসবাজি মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য, 'বায়ু দূষণ রুখতে কী পদক্ষেপ ?'
২০২৬-এর বিধানসভা ভোট-যুদ্ধে এখনও বেশ কয়েকমাস বাকি। তার আগেই শুরু হয়ে গেছে ডিজিটাল-ফাইট। বিজেপি...তৃণমূল...থেকে সিপিএম-কংগ্রেস - পিছিয়ে থাকতে চাইছে না কেউই। রাহুল গান্ধীর ঘৃণার পরিবর্তে 'মুহাব্বত কি দোকান' সোশাল মিডিয়ায় সেনসেশন ছড়িয়েছিল। শুধু রাস্তায় নেমেই নয়, কংগ্রেসের তরফে সোশাল মিডিয়ায় 'ভোট চুরি'র বিরুদ্ধে মতামত সংগঠিত করার জন্য প্রচার শুরু হয়েছে। GEN Z ও মিলেনিয়ালের মধ্যে প্রচারের ব্যপ্তি বাড়াতে, ইন্সটাগ্রাম-সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ডিং মিম, রিলস, স্ট্যাটিক পোস্টের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের বক্তব্যের অসঙ্গতি তুলে ধরা হচ্ছে।
এরইসঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই নিজের ও প্রতিপক্ষের অবস্থা যাচাই করতে সমীক্ষা করাও শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো! তাদের নিযুক্ত বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্থার কর্মীদের ফোন পাচ্ছেন ভোটাররা! ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে কাকে ভোট দিয়েছেন? ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেই বা কাকে ভোট দিয়েছেন? ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে কাকে ভোট দেবেন? এরকম নানা প্রশ্ন করা হচ্ছে! তাই নিয়ে তো আবার উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরে হুলস্থূল বেধে গেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের বাসিন্দা আশুতোষ রায় বলেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পে সন্তুষ্ট কিনা একচুয়ালি ওরা জানতে চাইছে আমি কাকে ভোটটা দিতে চাইছি। আমার ধর্ম জানতে চাইছে। রোজ আমার কাছে চার থেকে পাঁচবার ফোন আসছে।' উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের বাসিন্দা নীপা পাল বলেন, এইরকম বারবার ফোন আসছে এবং বলা হচ্ছে আপনার ধর্ম কি, আপনি কাকে ভোট দিতে চান। এই কারণে আমরা বিরক্ত হচ্ছি। দিনে দু বার থেকে তিনবার করেই যাচ্ছে।'
তৃণমূল বলছে বিজেপি ফোন করাচ্ছে, আবার বিজেপি বলছে তৃণমূল!হালিশহর পুরসভা তৃণমূল নেতা ও পুরপ্রধান শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, হালিশহরের প্রচুর মানুষের কাছে এই ফোন কলটি আসছে এবং এই নিয়ে অভিযোগ করছেন। রীতিমতো হ্যারাসমেন্ট করা হচ্ছে এবং একজনকে পাঁচবার থেকে সাত বার ফোন করা হচ্ছে। তারা বলছে সেন্ট্রাল থেকেই সার্ভে করানো হচ্ছে এটা এবং অবশ্যই এটা বিজেপির কাজ।ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি বিমলেশ তিওয়ারি বলেন, এটা সম্পূর্ণভাবে অসংবিধানিকও বলা যায় কারণ মানুষ এর নিজস্ব অধিকার কাকে কখন ভোট দেবে। তৃণমূল কংগ্রেস মানে কোন দল নয় এটা প্রশাসন চালায় এবং আইপ্যাক চালায়। পয়সা দিয়ে আইপ্যাক লাগিয়ে এই ধরনের কাজ তারা পরিচালিত করছে। ভোটের বঙ্গের রঙ্গ শুরু হয়ে গেছে।