কলকাতা : রেকর্ড ভোটে জিতে ভবানীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কোনও ওয়ার্ডে এবার আমরা হারিনি।


ভবানীপুরে ৫৮,৮৩২ ভোটে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে দ্বিতীয় হয়েছেন বিজেপির প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তৃতীয় সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস। জয়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তিনি বলেন, ভবানীপুরের সব মা-ভাই-বোনেদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কোনও ওয়ার্ডে এবার আমরা হারিনি। আগে যখন এখানে লড়েছি, এক-দুটো ওয়ার্ডে কম ভোট পেয়েছিলাম। ভবানীপুরে অবাঙালি ভোটাররাও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছেন।


জয়ের পর বিরোধী শিবিরকে একহাত নিতে ছাড়েননি তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, সারা বাংলা আজ ভবানীপুরের দিকে তাকিয়ে ছিল। বাংলা আঘাত পেয়েছিল, একটা আসনে আমরা হেরেছিলাম বলে। অনেক চক্রান্ত হয়েছিল, কোর্টে মামলা চলছে। সেই চক্রান্তের জবাব দিয়েছেন ভবানীপুরের মানুষ।


তিনি আরও বলেন, "জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও আমরা বিপুল ভোটে জিতছি। এক, দুই, তিন, মানুষকে ধন্যবাদ দিন।" এর পাশাপাশি ৪টি উপনির্বাচনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন তিনি । জানান, শান্তিপুরে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন ব্রজকিশোর গোস্বামী। উদয়ন গুহ লড়বেন দিনহাটা থেকে। খড়দা থেকে লড়বেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন ; ভবানীপুরে ৫৮,৮৩২ ভোটে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


ভোটের ট্রেন্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের আভাস পাওয়ার পরই, কালীঘাটে শুরু হয়ে যায় আবির খেলা। নাচে, গানে, শাঁখ বাজিয়ে, জয়ের সেলিব্রেশন করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে উৎসবে সামিল হন মদন মিত্রও। তিনি বিজেপি-কে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ভবানীপুর টু কামারহাটি, ওয়েস্টবেঙ্গল টু দেশের মাটি। লক্ষ্য এবার দিল্লির মাটি। মমতা যাবে, মোদির নাক কেটে দিয়ে যাবে।’


কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও হয় বিজয় উল্লাস। বাজি ফাটিয়ে, জয় উদযাপন করেন তৃণমূল কর্মীরা। আর, ঠিক সেই সময়ই শুনশান বিজেপির মুরলীধর সেন লেন ও হেস্টিংসের পার্টি অফিস। দেখা নেই নেতা-কর্মীদের।