কলকাতা  ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত বিধাননগর বিধানসভা। সল্টলেকের দত্তাবাদে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। সংঘর্ষে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন।গতকাল ভোট মিটতেই অশান্তি শুরু হয়। বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মল দত্তর প্রাণনাশের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় ২ জনকে আটক করে পুলিশ।


অভিযোগ, তিনি থানায় যাওয়ার পর এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরপর আজ সকালে বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে যাওয়ায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল নেতার মদতে তাাদের সমর্থকদের মারধর করা হয়। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তাঁদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করেছে বিজেপি।


শনিবার ভোট চলাকালীনই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিধাননগরের শান্তিনগর। দুই পক্ষের ইটবৃষ্টি, হাতাহাতি। উভয়পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত। বুথের কাছে অবৈধ জমায়েত, ভোটারদের বাধা দেওয়া অভিযোগ থেকে গন্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূলের তরফে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের। সংঘর্ষ চলাকালীন এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে মার। তিনি অভিযোগ করেন, ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে।


ঘটনার পরই দ্রুত এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। এলাকার যাবতীয় অবৈধ জমায়েত সরাতে অভিযানে নামে তারা। কিছু জায়গায় লাঠি উঁচিয়েও ভিড়ের দিকে তেড়ে যান তারা। আপাতত গোটা এলাকায় টহলদারী চালাচ্ছে বাহিনী। পুলিশের আধিকারীকরা এলাকায় মাইকে প্রচারে নামেন। চিন্তামুক্ত হয়ে ভোট দেওয়ার আবেদন করা হয় তাদের তরফে। পাশাপাশি ভোট দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও কারণে রাস্তায় অবৈধ জমায়েত করা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।


শান্তিনগরের অশান্তি দফায় দফায় বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চম দফার বোট চলাকালীন গতকাল বেশ কিছু জায়গায় চলে তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত। ভোটপর্ব মেটার পর সন্ধের দিকেও যা জারি ছিল। সেই ভোট পরবর্তী হিংসা কমার কোনও ইঙ্গিত দেখা যায়নি এদিনও।