কলকাতা: যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চসায়র থানা এলাকায়।


যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু নস্করের অভিযোগ, গন্ডগোলের আশঙ্কার কারণ দেখিয়ে শহিদস্মৃতি এলাকায় তাঁকে ঢুকতে বাধা দেয় পঞ্চসায়র থানার পুলিশ। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, ওই এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের দাবি, বিধিনিষেধ অমান্য করে বিজেপি প্রার্থী বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক নিয়ে ওই এলাকায় প্রচারে যাওয়ায় তাঁকে আটকানো হয়। কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারের মাঝে গার্ডরেল দিয়ে এলাকা ঘিরে রেখে তাঁকে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মাস কয়েক আগে বাম শিবির ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো রিঙ্কু নস্কর।




জানা যাচ্ছে, বিজেপির পক্ষ থেকে পাঁচজনকে এলাকায় ঢুকে প্রচার করার কথা বলেছিল পুলিশ। কিন্তু ভোটের মুখে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে সবাই মিলে এগিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে চেয়েছিলেন। তাই পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই তারা এলাকায় ঢুকতে যান। কিন্তু এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে, এই আশঙ্কায় তাদের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। যারপরই গার্ডরেলের বাধা ভেঙে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে।


কিছুদিন আগেই রিঙ্কু নস্করের প্রচার নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ চড়েছিল। যাদবপুর অঞ্চলে তাঁর জনসভার জন্য তৈরি করা মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার, গেরুয়া শিবিরের পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যে ঘটনার পরও যাদবপুর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। কিছুদিন আগেই দেওয়াল লিখন ও পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে বীরভূমের নানুরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পাটনীল গ্রামে সিপিএম কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত ৫ জন সিপিএম কর্মীকে বোলপুরের সিয়ান হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।