কলকাতা: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল বিজেপি। কাঁথি  পুরসভার ভোট গণনায় (WB Municipal Elections) স্থগিতাদেশ নয়, বিজেপির আবেদন খারিজ করে জানাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কালই হবে কাঁথি পুরসভার ভোট গণনা (WB Muncipal Poll 2022)। আদালতে বিজেপির আইনজীবী দাবি করেছেন, ''৯৭টির মধ্যে ৯১টি সিসিটিভি খারাপ করে দেওয়া হয়েছে। নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে সিসিটিভি-র অডিট করানো হোক। জাতীয় নির্বাচন কমিশন বা সিবিআই-কে মনোনীত করা হোক।''


অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশনের বক্তব্য জানতে চায় আদালত। যে অভিযোগ এখানে করা হচ্ছে, তা কমিশনকে জানানো হয়নি। আগে দেখতে হবে অভিযোগগুলি ঠিক কিনা, তারপর অডিটের প্রশ্ন। হাইকোর্টে জানান কমিশনের আইনজীবী।



অভিযোগের ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ, ৭ মার্চের মধ্যে জানাতে হবে। হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কমিশন ও রাজ্যকে। মামলার নথি পাঠাতে হবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। কমিশনকে সিসিটিভি সংরক্ষণের নির্দেশ। মামলার ফলাফলের উপর নির্ভর করবে কাঁথি পুরভোটের ভাগ্য। 


উল্লেখ্য, রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে কাঁথিতে (Contai Municipality) , পুরভোটের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে, রক্তাক্ত হতে হয়েছিল এবিপি আনন্দর সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিককে। লাথি এবং ঘুঁষি মেরে, চিত্র সাংবাদিক ভগবান শাহের মুখ এবং চোখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সাংবাদিক প্রকাশ সিন্হাকেও মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। ক্যামেরা এবং বুম কেড়ে নিয়ে, ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল কাঁথি পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের রহমানিয়া মাদ্রাসায়। বুথের বাইরের মাঠে একশো থেকে দেড়শো জন জমায়েত করে দাঁড়িয়ে ছিল। এবিপি আনন্দর সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিক গাড়ি থেকে নেমে, তাঁদের বক্তব্য নিতে যেতেই, তাঁরা তেড়ে আসে। কোনও কথা বলার আগেই শুরু হয় বেধড়ক মারধর।


প্রথমেই চিত্র সাংবাদিক ভগবান শাহের ক্যামেরা কেড়ে, ভেঙে দেওয়া হয়। ঘুঁষি এবং লাথি মেরে চিত্র সাংবাদিকের মুখ-চোখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সাংবাদিক প্রকাশ সিন্হা এগিয়ে যেতেই, তাঁকেও বেধড়ক মারধর শুরু হয়। তিনি সেখান থেকে বেরনোর চেষ্টা করলে, পিছন থেকে ধাওয়া করে, ধরে, মাটিতে ফেলে ফের শুরু হয় লাথি এবং ঘুঁষি মারা। প্রকাশ সিন্হার হাত থেকে চ্যানেলের বুম কেড়ে নিয়ে, ভেঙে দেওয়া হয়। সাংবাদিকের পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া হয়। প্রায় ছ-সাত মিনিট ধরে এই তাণ্ডব চলে। শেষে তিনি যন্ত্রণায় চিৎকার করতে শুরু করলে, একজন এসে হামলাকারীদের সেখান থেকে সরায়। এবিপি আনন্দর গাড়িও ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। গাড়িচালক কোনওমতে গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।