কলকাতা: পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরির দাবিতে ভবানী ভবনের সামনে  বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের। বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভে সামিল হন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া। এরপরেও চলে বিক্ষোভ। রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের সামনে এ ধরনের বিক্ষোভ কার্যত নজিরবিহীন। প্রায় দু ঘণ্টা পর পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়।


বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও চাকরির ব্যবস্থা হচ্ছে না। অনেকের কাছেই নিয়োগপত্র রয়েছে বলেও তাঁদের দাবি। তারপরও নিয়োগ আটকে রয়েছে। 
তাঁদের অভিযোগ, করোনার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন পিছিয়ে গিয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে যোগদানের তারিখ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভিত্তিহীন অভিযোগের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। 


বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁদের অনেকেই চাকরি ছেড়ে চাকরির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়োগ পিছিয়ে যাওয়ায় তাঁরা সবাই এখন কর্মহীন। ফলে প্রচুর সমস্যায় পড়েছেন। 
বিক্ষোভকারীদের দাবি, এ ব্যাপারে তাঁদের জানানো হোক। চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ৬,৫৮৮। এরমধ্যে ১৮০০ প্রার্থী ইতিমধ্যেই কাজে যোগদান করেছেন। তাঁরা নিয়োগ নিয়ে বিবৃতি দাবি করেছেন। 


পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীদের পাঁচ জন প্রতিনিধিকে আলিপুর থানায় নিয়ে গিয়ে আলোচনা করে পুলিশ। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠাতে তৎপর হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরও নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন। পুলিশের তরফে বারবার বিক্ষোভকারীদের সতর্কও করা হয়। কিন্তু তাঁরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায়  বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়।


চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ২০১৯ থেকে কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। আইনি জটিলতার কারণে, নিয়োগপ্রক্রিয়া স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে বিচারাধীন।তাই, অনেকেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেয়ে গেলেও কাজে যোগ দিতে পারছেন না। দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ ও নিয়োগ শুরুর দাবিতে, এদিন ভবানী ভবনে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের সামনে জড়ো হন কয়েক’শো চাকরিপ্রার্থী। ভবানীভবনের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়।  এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশের জেরে, অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে, গোপালনগর, আলিপুর পুলিশ কোর্ট, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএম অফিস সহ একাধিক প্রশাসনিক ভবন।


পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের।বিক্ষোভ হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে, মৃদু লাঠি চালায় পুলিশ।