সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও, মহালয়ার আগে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal)। রবিবারের পর উপকূলের জেলায় (Coastal Districts) বৃষ্টি বাড়তে পারে। সপ্তাহ শেষে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া (Weather) দফতর।


দেবীপক্ষ শুরুর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তার আগে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাল, আপাতত বৃষ্টির ইনিংস চলবে। শনিবার, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুত্‍সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।


কী বলছে হাওয়া অফিস ?
 
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। তার জেরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের অভিমুখ ওড়িশার দিকে হলেও এরাজ্যের উপকূল এলাকাগুলিতে রবিবারের পর বৃষ্টি বাড়তে পারে। 


অন্যদিকে, বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গে। শনিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ির কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার এই তিন জেলার পাশাপাশি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। 


মহালয়ার আগে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও আশার কথা, আপাতত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


প্রসঙ্গত, করোনা ও ডেঙ্গির মধ্যেই পুজো মেতে ওঠার জন্য তৈরি হচ্ছে গোটা রাজ্য। জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। জমে উঠেছে পুজোর কেনাকাটা। এরকম আবহেই দিন দুয়েক আগেও আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিল, রবিবার ওড়িশা ও বাংলা উপকূলে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় শক্তি বাড়িয়ে সেটি পরিণত হবে নিম্নচাপে। তার জেরে পুজোর মুখে বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। গত বৃহস্পতিবারও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।


আরও পড়ুন ; আজ বৃষ্টিতে ভিজবে দুই বর্ধমান ?


এ দিকে, সামগ্রিক ভাবে জুনের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিহীন থেকেছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। তার ফলে কৃষকাজের উপরেও এই অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন সময়ে বৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। বৃষ্টিতে ভিজেছে কলকাতাও। এই পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। কারণ, গত কয়েক দিনে অনেকটাই পুষিয়ে গিয়েছে জলের চাহিদা। বরং কিছু কিছু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিকে বৃষ্টির পর বিভিন্ন জায়গায় জল নেমে গিয়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। তাতে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।