আশাবুল হোসেন, কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিধানসভায় এসে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের নবনির্বাচিত বিধায়কদেরও শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল।
ভবানীপুরের উপনির্বাচনে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বিধানসভায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ নবনির্বাচিত তিন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল।’ সোমবার এই আবেদন জানিয়ে, রাজভবনে চিঠি পাঠায় রাজ্যের পরিষদীয় দফতর। সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল বা তাঁর মনোনীত কেউ বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। রীতি অনুযায়ী, বিধায়করা বিধানসভাতেই শপথ নেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে সেই শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার অধ্যক্ষ। সম্প্রতি সেই অনুমতি নিয়েই ১২ জন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সেই অনুমতি সম্বলিত নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয় রাজভবন।
সূত্রের খবর, এরপর বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়া নিয়ে ফোনে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাতে রাজ্যপালের শপথবাক্য পাঠ করানোর অনুমতির বিষয়টিও ওঠে। সূত্রের আরও খবর, রাজ্যপাল পরিষদীয় মন্ত্রীকে জানান, ৫ অক্টোবর পর্যন্ত উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি রয়েছে। তারপর এ নিয়ে তিনি সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন।
পরে এই বিষয়ে একটি ট্যুইটও করেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সরকার ও বিধানসভার কার্যধারা এবং অনুশীলনে আইনের ভুল ধারণা দৃশ্যতই উদ্ভূত। এখনও উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি রয়েছে। বিষয়টি সঠিক মাধ্যমে আমার কাছে এলে এবং ১৮৮ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হলে, তা করা হবে।’
শেষপর্যন্ত অবশ্য রাজ্যের প্রস্তাবে সায় দেন রাজ্যপাল। তিনি নিজেই ট্যুইট করে জানিয়ে দেন, বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তিন নবনির্বাচিত বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। সেই অনুযায়ী আজ তিন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল।