কলকাতা :
শুরু হল নবরাত্রি উৎসব (Navratri Utsav)। ৯ দিন ধরে মহামায়া দশভূজা পূজিত হবেন ৯টি রূপে। সারা দেশে কোভিড বিধি মেনে মহা ধূমধামে পালিত হয় এই উৎসব। মহামায়ার দশ হাতে থাকে অস্ত্র ও অন্যান্য কয়েকটি জিনিস। যা মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধের আগে তুলে দিয়েছিলেন দেবতারা। মহামায়ার সৃষ্টির গল্পের সঙ্গেই জড়িয়ে এই অস্ত্র্য-মাহাত্ম্য । 



বজ্র :
মহামায়ার হাতে দেবরাজ ইন্দ্র তুলে দিয়েছিলেন বজ্র৷ মায়ের হাতের এই অস্ত্র দৃঢ়তা এবং সংহতির প্রতীক।


সুদর্শন চক্র: শ্রীবিষ্ণু দেবী দুর্গাকে তুলে দিয়েছিলেন শক্তিশালী চক্র। চক্র সদা আবর্তিত হয়। বিনাশ করে শত্রুর। দেবী দুর্গার হাতে চক্র থাকার অর্থ ,সমস্ত সৃষ্টির কেন্দ্রে অবস্থান করছেন দেবী।


তির-ধনুক : কথিত আছে, পবন দেব ও সূর্যদেব দেবীকে দিয়েছিলেন তির-ধনুক ৷ উভয়ই ইতিবাচক শক্তির প্রতিক ৷ পুরাণে শক্তিশালী শত্রুর বিনাশ করতে তির-ধনুকের বিকল্প নেই। যে কোনও বীরই তির-ধনুকে ভরসা রাখতেন শত্রুকে হারাতে।


গদা : যমরাজ দেবী দুর্গাকে দিয়েছিলেন দিয়েছিলেন গদা ৷ যা কালদণ্ড নামেও পরিচিত। এই অস্ত্র আনুগত্য, ভালবাসা এবং ভক্তির প্রতীক। সেই সঙ্গে শক্তিরও প্রতীক। দশভূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হল গদা।


পদ্ম: দশভূজা দেবীর হাতে ব্রহ্মা তুলে দেন পদ্ম ৷ পাঁকে জন্মায় পদ্ম। কিন্তু তা কলঙ্কহীন। দেবীর আশীর্বাদে অন্ধকার কেটে আলোর সঞ্চার হয়। সেই আলোর বার্তাবহ পদ্মফুল।


ঘণ্টা : দেবীর বাঁ হাতে থাকে ঘণ্টা। পুরাণে কথিত আছে, দেবরাজ ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত দেবী দুর্গাকে এই ঘণ্টা দিয়েছিলেন। ঘণ্টা ধ্বনি অসুরদের তেজকে দুর্বল করে ।


শঙ্খ : বরুণ দেব দিয়েছিলেন শঙ্খ ৷ যার ধ্বনি মঙ্গলময়। আবার যুদ্ধের আহ্বান জানাতে দেবী ব্যবহার করেছিলেন শাঁখ।


সাপ : মহাদেবের সাপ শুদ্ধ চেতনার প্রতীক। সাপ নেতিবাচক ভাবনা কাটিয়ে মানসিক উত্থানেরও প্রতীক বটে। 


তরবারি : বুদ্ধিমত্তার প্রতীক তলোয়ার ৷ যার জোরে সমস্ত বৈষম্য এবং অন্ধকারকে ভেদ করতে পারে মানুষ৷ জ্ঞানের আলোর প্রকাশ তরবারি। কেউ কেউ বলেন, গণেশ নাকি মা দুর্গাকে তরবারি প্রদান করেন। 


ত্রিশূল : মহামায়ার হাতে ত্রিশূল তুলে দিয়েছিলেন স্বয়ং শিব৷ কথিত আছে, ত্রিশূলের তিনটি ফলার আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা আছে। মানুষ তিনটি গুণ, সত্য, তমঃ, রজঃ -র প্রতীক ত্রিশূলের তিন ফলা।
আরও পড়ুন :


পুজোর দুপুরে বাড়িতেই জমে উঠুক ভূরি-ভোজ, রইল ঠাকুরবাড়ির আদলে মুরগি-মটনের রেসিপি