ঝিলম করঞ্জাই ও রুমা পাল, কলকাতা: বামেদের ধর্মঘটে ভোগান্তির ছবি। অবরোধের জেরে আটকে যাওয়ার আশঙ্কায় রাত থাকতেই বিমানবন্দরে হাজির কয়েকজন যাত্রী। নির্ধারিত সময়ের বহু আগেই রেল স্টেশনে গেলেন যাত্রীরা। তবে মোটের উপর রেল পরিষেবা ছিল স্বাভাবিক।
বৃহস্পতিবার পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে, রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটে জায়গায় জায়গায় রেল অবরোধ করে বামেরা। এর জেরে ভোগান্তির ছবি ধরা পড়ল হাওড়া-শিয়ালদায়। দুর্ভোগে পড়েন বিমানযাত্রীরাও।
শুক্রবার বনধ থাকায়, রাত থাকতেই অনেক যাত্রী বিমানবন্দরে চলে আসেন। দূরের বহু বেশ কয়েকজন বিমান যাত্রী চলে আসেন ভোরের দিকে। যদিও ট্যাক্সি চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
এক বিমানযাত্রী জানান, ‘‘আমার বাড়ি বর্ধমানে। চেন্নাইতে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি। রাত থাকতেই চলে এসেছি। এখন মশার কামড় খাচ্ছি ৷’’
আরেক বিমানযাত্রী কথায়, ‘‘আমার বাড়ি বারাসাতে। খুব ভোরে এসেছি। কারণ বনধ হলেই চাঁপাডালি মোড়ে অবরোধ হয়।’’
একই ছবি দেখা গিয়েছে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনেও। এক রেলযাত্রীর কথায়, ‘‘আমার বাড়ি উলুবেড়িয়ায়। রাস্তায় সমস্যা হয়নি। তবে বনধ করা ঠিক নয় ৷’’
হাওড়া ও শিয়ালদা ডিভিশনের কয়েকটি জায়গায় রেল অবরোধের জেরেও দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা।
এদিন কেষ্টপুর মোড়ে কিছুক্ষণের জন্য অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। পরে অবশ্য অবরোধ উঠে যায়।