কলকাতা: আজও সাতশোর কোটাতেই রয়েছে করোনার সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭০৭ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫,৫৯,৫৬৭ জন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৮,০২৫ জন।
এই সময় পর্বে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। গতকালের তুলনায় সংখ্যাটা খানিকটা কম। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন মোট ১৮,৬২০ জন। উল্লেখ্য, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৭২৫ জন। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় রাজ্যে সুস্থতার সংখ্যা বেশি। এ দিনের হিসেবে রাজ্যে করোনায় সুস্থতার হার ৯৮.২৮ শতাংশ।
দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে চারশোর কাছাকাছি। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের ছাড়াল ৩০ হাজারের গণ্ডি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩১ জনের। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ৫৭০। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৯২৮ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩২৫। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৯২৩। দেশে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৭৪ জন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩৮ হাজার ৩০৩ জন।
করোনা আবহে আরেক আতঙ্ক শিশুদের অজানা জ্বর। জেলায় জেলায় শিশুদের জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। মালদা মেডিক্যাল কলেজে ৩ শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে এখনও অবধি। জানা গেছে, জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে গতকাল ভর্তি হয়েছিল ৩ শিশু। ২ জনের মৃত্যু হয়েছে গতকাল, ১টি শিশুর মৃত্যু হয় সকালে। চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ করেছে পরিবার। গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তপক্ষ।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি ১০টি শিশুর সোয়াবে মিলল ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস। এখনও ২টি রিপোর্ট আসেনি, খবর হাসপাতাল সূত্রে। জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯৫ জন শিশু। এদের মধ্যে ১০ জনের সোয়াব পাঠানো হয়েছিল কলকাতায়।
পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে বাড়ছে জ্বরে আক্রান্তর সংখ্যা। হাসপাতালের শিশুবিভাগে প্রতিদিন জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে চলছে বৈঠক। হাসপাতালের শিশুবিভাগে ২৩৫ জনেরও বেশি অসুস্থ শিশু ভর্তি। সব মিলিয়ে জেলায় জেলায় শিশুদের অসুস্থতা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।