কলকাতা: এগিয়ে আসছে উপনির্বাচনের দিন। নিজের গড়ের জমি নিয়ে প্রত্যয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাল গুরুদ্বারে জনসংযোগের পর আজ ভবানীপুরের গোল মন্দিরে গেলেন ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে পুজো দেন, প্রসাদ বিতরণ করেন সকলকে। এদিন প্রচারে বেরিয়ে ভবানীপুরের লেডিস পার্কেও যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'সেখানে গিয়ে তিনি বলেন আমি আপানাদের রক্ষা করব, আমি দেশকে রক্ষা করব।'
এ দিন ভবানীপুরের লেডিস পার্কে গিয়ে মমতা আরও বলেন, ‘নন্দীগ্রামকে পাকিস্তান বলেছে, ভবানীপুরকেও পাকিস্তান বলছে। বিজেপির যে কায়দা, সেটা আমার পছন্দ নয়। নোটবন্দির সময় কী হয়েছিল, আপনারা দেখেছেন। আমি রোজ বড়বাজার যেতাম, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতাম। আমি কারও খারাপ চাই না। আমি মসজিদে গিয়েছিলাম বলে, বিজেপি কটাক্ষ করছে। আমি মন্দিরে গেলাম, গুরুদ্বারে গেলাম, যে যার ধর্ম, তাই করুন।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন। জোর কদমে প্রচার চলছে, গতকালই প্রচারের পথে গুরুদ্বারে যান মমতা। সেখানে বেশকিছুক্ষণ সময় কাটান। আর তাতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মমতার বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি। দলবল নিয়ে ভবানীপুরের গুরুদ্বারে গিয়ে কোভিড বিধিভঙ্গ হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন। রাতে নাকা তল্লাশি, সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ চলল এলাকায়। আজ চক্রবেড়িয়া, যদুবাবুর বাজার, পদ্মপুকুর এলাকায় রুট মার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর আগে গতকাল রাতে জওহরলাল নেহরু রোড ও পার্ক স্ট্রিট ক্রসিংয়ে কলকাতা পুলিশের তরফে চলে নাকা চেকিং। নেতৃত্ব দেন ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া। রাত্রিকালীন গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ, বেআইনি কার্যকলাপ রোধ ও ভবানীপুর উপনির্বাচনকে মাথায় রেখে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগেই শহরে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। তাই রাতের কলকাতার নিরাপত্তা জোরদার করতে তত্পর পুলিশ।
আরও পড়ুন: 'এখানে এলে মন শান্ত হয়ে যায়' ভবানীপুরে গুরুদ্বারে জনসংযোগ মমতার