কলকাতা: আজও ৭০০-র কোটাতেই রয়েছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত সরকারি বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫২ জন। এই সময় পর্বে করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন।


গতকালও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৫৪ জন। সবমিলিয়ে শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১৫২৯,৩৮৭ জন। উওর ২৪ পরগনায় একদিনে ১২৭জন আক্রান্ত, ৪জনের মৃত্যু। নদিয়ায় একদিনে ৫২জন করোনা সংক্রমিত, ৪জনের মৃত্যু। জলপাইগুড়িতে একদিনে ২৭জন আক্রান্ত, ৩জনের মৃত্যু। কলকাতায় একদিনে ১১৯জন সংক্রমিত, ১জনের মৃত্যু। 


উল্লেখ্য, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগাম প্রস্তুতি চলছে। ৭৯টি সরকারি হাসপাতালে সঙ্কটজনক রোগীদের জন্য বিশেষ পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি, জরুরি কাজে যাঁরা বিদেশে যাচ্ছেন তাঁদের ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান কমানো যায় কিনা, তা বিচার করে নিয়ম শিথিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অক্টোবরেই না কি দেশে শিখর ছোঁবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। উৎসবের মরসুমে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে মারণ ভাইরাস করোনা। এর আগে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের রিপোর্ট। সেই শঙ্কাকে মাথায় রেখে এবার আগাম প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য সরকার। 


রাজ্যের মোট ৭৯টি সরকারি হসপাতালে সঙ্কটজনক করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এই বিশেষ ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে হাইব্রিড সিসিইউ। এর মধ্যে ৬টি বেডে থাকবে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা। বাকি ১৮টি বেডে থাকবে ক্রিটিক্যাল কেয়ারের সাপোর্ট। 


রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল ও মহকুমা হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৭৯টি চিকিৎসা কেন্দ্রে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে নির্দেশিকা। 


আরও পড়ুন: Digha:দিঘার সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার মুখে পর্যটককে উদ্ধার করলেন নুলিয়ারা