কলকাতা : স্বাধীনতার পর কেটে গেছে ৭৪ টি বছর। বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। কিন্তু মত বদলায়নি সিপিএম। এতবছর কেটে গেলেও কোনওদিন আলিমুদ্দিন বা সিপিএমের  কোনও পার্টি অফিসে তোলা হয়নি ভারতের তেরঙ্গা পতাকা। স্বাধীনতা দিবস হোক বা প্রজাতন্ত্র দিবস, সিপিএমের পার্টি অফিসে ফতফত করে উড়েছে লাল-নিশানই। কখনও স্বাধীন ভারতের পতাকা ওড়েনি লালদুর্গের চূড়ায়। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটতে চলেছে। তাও স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর। সিপিএম নিজের অবস্থান থেকে সরার সিদ্ধান্ত নিল। সূত্রের খবর, এই বছর স্বাধীনতা দিবসে সিপিএমের পার্টি অফিসের মাথায় উড়বে তেরঙ্গাও। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌলতে সরকারিভাবে স্বাধীনতা দিবসে, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতেন জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা। কিন্তু নিজেদের পার্টি অফিসে লাল নিশান ব্যতীত কোনও পতাকা দেখা যায়নি। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। 


দল স্বাধীনতা দিবসে নানা কর্মসূচি নিলেও, পার্টি অফিসে উড়ত না জাতীয় পতাকা। যার ব্যতিক্রম ঘটতে পারে আগামী রবিবার। ১৫ অগাস্ট দেশের পতাকা উড়তে দেখা যেতে পারে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট-সহ সিপিএমের অন্যান্য পার্টি অফিসেও।
কিন্তু স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর কেন এমন মতবদল? রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছেন, স্বাধীনতা দিবস পালন না করায় সিপিএমকে অনেকেই বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করেন। সেই তকমা ঘোচাতেই এই সিদ্ধান্ত।

কলকাতার আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে শিলিগুড়ির অনিল বিশ্বাস ভবন, সিপিএমের পার্টি অফিসগুলিতে এতদিন শুধুমাত্র লাল পতাকাই উড়তে দেখেছে সবাই। তবে আগামী ১৫ অগাস্ট বদলে যেতে পারে ছবিটা।  লাল পতাকা ছাড়াও, ওই দিন শুধু আলিমুদ্দিন নয়, সেখানে দেখা যেতে পারে জাতীয় পতাকা। স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর, এই প্রথমবার ১৫ অগাস্ট পার্টি অফিসগুলিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। শুধু তাই নয়, এক বছর ধরে দিনটি উদযাপন করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

রবিবার শেষ হয়েছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। সূত্রের খবর, সেই ভার্চুয়াল বৈঠকেই স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুজন চক্রবর্তী। সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়েছেন,  নেতৃত্ব চাইলে ১৫ অগাস্ট দলের পার্টি অফিসগুলিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে।