সমিত সেনগুপ্ত, কলকাতা: ভোটের মুখে সরগরম রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা। নিউ আলিপুরে পুলিশের জালে মাদক-সহ গ্রেফতার হলেন বিজেপির যুব নেত্রী ও নেতা। শুক্রবার এনআর অ্যাভিনিউতে দু-জনকে পাকড়াও করে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ।
ধৃত যুব বিজেপি নেত্রীর নাম পামেলা গোস্বামী। গ্রেফতার যুব নেতার নাম প্রবীর কুমার দে...ধৃত পামেলা গোস্বামী, রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক।
তিনি হুগলি বিজেপির যুব মোর্চার পর্যবেক্ষকও। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর সঙ্গী বিজেপি নেতা, প্রবীর কুমার দে-কেও। পুলিশ দাবি করছে, তাঁদের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম কোকেন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, তাঁদের কাছে খবর ছিল দীর্ঘদিন ধরেই পামেলা ও প্রবীর নিউ আলিপুরে আসতেন এবং মোটরবাইকে করে এসে কয়েকজন তাঁদের কাছ থেকে কিছু নিয়ে যেতেন। এইভাবে মাদক পাচারের সন্দেহে, এদিন নিউ আলিপুরের এনআপ অ্যাভিনিউতে ওঁত পেতে ছিল পুলিশ। তৈরি ছিল পুলিশের আটটি গাড়ি। ছিলেন নিউ আলিপুর থানার ওসিও। যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় এই রাস্তায়। একটি কফি শপের সামনে সঙ্গীকে নিয়ে বিজেপির যুব নেত্রী পামেলা আসতেই তাঁদের ধরে ফেলে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে দাবি, তাঁর ব্যাগ থেকে ও গাড়ির সিটের তলা থেকে মাদকের পাউচ মেলে। এই গ্রেফতারির নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। পাল্টা সমালোচনায় সরব তৃণমূল।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘‘ওদের কাছেই কোকেন ছিল, নাকি অন্য কোথাও থেকে এসেছে দেখতে হবে, দোষী হলে আইন আইনের পথে চলবে, এখনও মডেল কোড অফ কনডাক্ট লাগু হয়নি, ফলে রাজ্য সরকারই পুলিশকে চালাচ্ছে, রাজনীতি থাকতেই পারে ৷’’
অন্যদিকে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, এমন ঘটনা দেখেও লজ্জা লাগে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, পামেলা ও প্রবীরের মধ্যে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। একসঙ্গে রাজনীতির পাশাপাশি নিউটাউনে একটি বিউটি পার্লার চালাতেন তাঁরা। কোথা থেকে মাদক আসত, আর কাদের পাচার করা হত, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে।