রুমা পাল, কলকাতা: আবারও বঙ্গ সফরে আসতে চলেছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আগামী শুক্রবার রাজ্যে আসছেন উপ নির্বাচন কমিশনার এমনটাই কমিশন সূত্রে খবর। রাজ্যে এসে তিনি এবারও জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করবেন। এনিয়ে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতর থেকে সমস্ত জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এখন ও পর্যন্ত যা খবর মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে তার আগে আরও একবার ভোট প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চান উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। আগের সফরে ভোটের সময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এনিয়ে রাজ্যের উচ্চ আধিকারিকদের কাছে ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ভোটের সময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে বিরোধীরা সরব হন এবং এ নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে আসেন। তাদের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে এবার নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। এর আগেই সুদীপ জৈন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে কোনও আধিকারিকের ভোট প্রক্রিয়ায় কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়লে তাকে সাসপেন্ড করা হবে। এছাড়া জামিন অযোগ্য ধারা মামলায় কত গ্রেফতারি হয়েছে তার হিসেবেও জানতে চান।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে ভোটের আগেই বেশ কয়েকটি জায়গায় রাজনৈতিক হিংসা ছড়িয়েছে। মুর্শিদাবাদের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ওপর বোমা হামলার ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট পৌঁছে গেছে কমিশনে। সে দিক দিয়ে সুদীপ জৈনের এই সফর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। একদিকে ভোট প্রস্তুতি অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক মহল কতটা তৎপর তাও খতিয়ে দেখবেন উপ নির্বাচন কমিশনার। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ কমিশনার, রাজ্যের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক-কে বদলি করেছে রাজ্য। এমনকী, বেশকিছু প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও রদবদল করেছে নবান্ন। খোদ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরেও রদবদল হয়েছে আধিকারিকদের। তবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরেও রদবদল হয়েছে কমিশনের নির্দেশে।
শনিবারই রাজ্যে এসে গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার যে শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশের হাতে এই কেন্দ্র বাহিনী গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ থাকবে তা নয় ৷ সমন্বয় রাখতে হবে স্টেট সিএপিএফ কো-অর্ডিনেটর বিএসএফের সঙ্গে ৷ এমনকী, সিইও দফতরের কড়া নজরদারিতেও থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে রাজ্যের উচ্চ আধিকারিকদেরও নির্দেশ দিতে পারেন উপ নির্বাচন কমিশনার।
ভোটের সময় রাজ্যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটার যেমন অতীত রয়েছে তেমন বর্তমানেও ভোটের আগে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে ৷ সে ক্ষেত্রে হিংসামুক্ত নির্বাচন করানো কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ভোটের শেষ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।