কলকাতা:  বেলাগাম পেট্রোল-ডিজেল। প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার ইলেকট্রিক স্কুটারে নবান্ন যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। হাজরা থেকে ইলেকট্রিক স্কুটারে যেতে পারেন ফিরহাদ হাকিমও।


সূত্রের খবর, আজ সকাল ১১টা নাগাদ হাজরা থেকে ইলেকট্রিক স্কুটারে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন মমতা। চালকের আসনে থাকতে পারেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।


পেট্রোল ও ডিজেলের লাগাতার দাম বাড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাতেই এই অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে খবর। তবে এমনটা হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ অতীতে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু’চাকার বাহনে সফর করতে দেখা গিয়েছে।


জ্বালানি জ্বালায় জর্জরিত জনতা। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে অভিনব পন্থা নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার হাজরা থেকে নবান্নের পথ ইলেকট্রিক স্কুটারে চেপে পাড়ি দিতে পারেন তিনি।


গত ২৩ দিনে ১৫ বার পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজস্থান, মেঘালয়, অসম ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের কর সামান্য কমিয়ে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করলেও ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি হতে থাকায় ও কেন্দ্রীয় সরকার তাদের কর বিন্দুমাত্র না কমানোর ফলে সুরাহা পাচ্ছেন না উপভোক্তারা। 


শেষবার ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে পেট্রোপণ্যের দাম লিটার পিছু ১.৫০ টাকা করে কমিয়েছিল কেন্দ্র। যে কারণে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব বিরোধীরা। যদিও, তেলের লাগাম ছাড়া দামের জন্য ঘুরিয়ে রাজ্যের ঘাড়ে দায় চাপালেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। 


এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দল সবারই প্রশ্ন, হাঁসফাঁস করা এই অবস্থা থেকে মধ্যবিত্তকে রেহাই দিতে কেন নিজেদের করের পরিমাণ কমাচ্ছে না মোদি সরকার?


ভোটের মুখে পেট্রোপণ্যের দাম ভারতে সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছনোয় চাপের মুখে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে কৌশলে এখন পেট্রোপণ্যকে জিএসটি-র আওতায় আনার প্রস্তাবের কথা শোনা যাচ্ছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর গলায়।