কলকাতা : তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র চেতলা মোড়। দফায় দফায় দু-দলের পথ অবরোধ, অবরুদ্ধ গোটা এলাকা। সঙ্গে দুই শিবিরেরই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ। সবমিলিয়ে ভোটের প্রাক্কালে উত্তপ্ত খাস কলকাতা।


ভোটের প্রাক্কালে খাস কলকাতায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। ঘটনার সূত্রপাত ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষের ফ্লেক্স ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ফ্লেক্স ছেঁড়া নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পর চেতলা থানায় অভিযোগ জানানোর জন্য যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তখনই তৃণমূলের অপর একটি দল তাদের মুখোমুখি এসে পড়ে। স্লোগান, দোষারোপের পর্ব দ্রুত রূপ নেয় সংঘর্ষে।


তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরই জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে, একে অপরের দিকে ইটবৃষ্টি করে দুপক্ষই। চেতলা মোড়ে সেই সময় দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। যার পর থেকেই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ও দুপক্ষই দফায় দফায় পথ অবরোধ করে চেতলায়।


তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে পিস্তল, লাঠি নিয়ে হামলা চালানোর ও মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। পাল্টা প্ররোচনা দিয়ে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা বলে পাল্টা অভিয়োগ তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের।


ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ বলেছেন, 'পিস্তল, বন্দুক, লাঠি নিয়ে এসে থ্রেট করে তৃণমূলের গুণ্ডারা। প্রায় ২৫০ জন ছেলে মিলে হামলা চালায়। মহিলাদের ধর্ষণের হুমকিও দেয়। কিছুদিন আগে গোপালপুরেও একইরকম ঘটনা ঘটেছিল। আজ মহিলারা রুখে না দাঁড়ালে ভয়ঙ্কর কিছু হতে পারত। এদের দোষটা কী, শুধু বিজেপিকে সমর্থনই কী রোষের কারণ।'


যা নিয়ে পাল্টা দিতে ছাড়েনি রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, 'অভিযোগ, নালিশের পার্টি হয়ে গিয়েছি বিজেপি। আসলে ওরা লাগাতার প্ররোচনা দিয়ে চলেছে। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। বাইরের রাজ্যের লোকজন ঢুকিয়ে রাজ্যে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে ওরা।'


এদিকে, এদিন প্রচার সেরে ফেরার পথে দক্ষিণ হাওড়া বিজেপি প্রার্থী রন্তিদেব সেনগুপ্ত আক্রান্ত হন। যা নিয়ে হাওড়াতেও দফায় দফায় বিরোধে জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি।