কলকাতা:  ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে এবার তত্পর হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ( ইডি)। শুরু করল অনুসন্ধান। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের কাছে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলার তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, কোন কোন থানায়, ক’টি এফআইআর দায়ের হয়েছে? তদন্তে কী কী তথ্য মিলেছে? গতকাল কলকাতা পুলিশকে ই-মেল করে যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, তথ্য সংগ্রহ করে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে তারা আর্থিক প্রতারণার মামলা রুজু করবে। জানা গিয়েছে, আর্থিক তছরূপ আইনের আওতায় এফআইআর করে  তদন্ত করবে ইডি।
উল্লেখ্য, দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কলকাতায় বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরইমধ্যে প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের  নানান জালিয়াতির ঘটনা সামনে এসেছে।
কলকাতা পুরসভা থেকে তথ্য সংস্কৃতি দফতর।দেবাঞ্জন দেবের ডেরা থেকে বিভিন্ন সরকারি অফিস ও দফতরের ভুয়ো স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই অবস্থায়, যে দোকান থেকে এই ভুয়ো স্ট্যাম্পগুলি তৈরি করা হত, তার হদিশ পেলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
পুলিশে সূত্রে দাবি, যাদবপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ডের উল্টোদিকের দোকান থেকে ভুয়ো স্ট্যাম্পগুলো বানাতেন দেবাঞ্জন দেব। দোকানের দুই মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
প্রায় এক বছর ধরে, দেবাঞ্জন এই দোকানে আসতেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন দোকানের এক কর্মী।
কি নথির ভিত্তিতে স্ট্যাম্প তৈরি করা হয়? কত টাকা দেওয়া হত? দেবাঞ্জনের সঙ্গে আর কেউ কি আসতেন দোকানে? এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, আর কোনও স্ট্যাম্প তৈরির দোকানের সঙ্গে দেবাঞ্জনের যোগ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন লালাবাজারের গোয়েন্দারা।
এদিকে, অভিযোগ তালতলাকে কেন্দ্র করেই জালিয়াতির জাল বিস্তার করেছিল দেবাঞ্জন। তালতলার একটি ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজোয় বহু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় দেবাঞ্জনের। সেই সংক্রান্ত একাধিক ছবি ভাইরালও হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো আইএএস পরিচয় দিয়ে সম্পর্ক তৈরি করে, প্রতারণা করেছে দেবাঞ্জন।
ইতিমধ্যেই, দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ট্যাংরার দুই ব্যবসায়ী।সব মিলিয়ে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একে একে বিস্ফোরক তথ্য সামনে উঠে আসছে।