কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। 


ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে-- ঝড়ের সময় বিলবোর্ড, গাছ অথবা বিপজ্জনক বাড়ির নিচে গাড়ি পার্কিংয়ে নিষেধ করা হয়েছে। আমফানের সময় এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বহু গাড়ি। তাই এবার আগাম সতর্ক তারা। 


পাশাপাশি, বিল বোর্ড, গাছ অথবা বিপজ্জনক বাড়ির নিচে পুলিশ কর্মীদের দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য ওয়্যারলেস সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঝড়ের সময় প্রয়োজন অনুযায়ী উড়ালপুল অথবা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। 


সেতু অথবা উড়ালপুলের ওপর রাখা গার্ড রেল এবং ট্রাফিক পুলিশের অন্যান্য সরঞ্জাম নিরাপদ জায়গায় রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশ কর্মীদের জন্য শুকনো খাবার মজুত রাখতেও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। 


গাছ ওপড়ানো, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটলে পুরসভা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সিইএসসি ও বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে ট্রাফিক পুলিশকে। 


এর পাশাপাশি, নির্মীয়মাণ হাইরাইজ বিল্ডিং থেকে ক্রেন সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।


এদিকে, শহরের মূল তিনটি নিকাশি খালে নির্মাণ কাজ চলায় ঘূর্ণিঝড়ের আগে চিন্তা বাড়ল কলকাতা পুরসভার। এই খালগুলো হল তপসিয়ার স্টর্ম ওয়াটার ফ্লো ক্যানাল, বেলেঘাটা খাল ও ধাপা সংলগ্ন খাল। এর মধ্যে তপসিয়ার স্টর্ম ওয়াটার ফ্লো ক্যানালের প্রায় ৭৫ শতাংশ জুড়ে চলছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর নির্মাণ কাজ।
  
গতকালের মতো আজও পুরসভার পাম্পিং স্টেশনগুলো পরিদর্শন করেন প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য নিকাশি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তারক সিং। কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি। এর পাশাপাশি, তপসিয়ার স্টর্ম ওয়াটার ফ্লো ক্যানালে মেশিনের সাহায্যে খাল চওড়া করার কাজ চলছে। 


পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিশেষ দল গঠন করল দমকল। প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে করবে কাজ। জানালেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।


ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলার প্রস্তুতিতে পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন এনডিআরএফ-এর সদস্যরা।


আমফানের কথা মাথায় রেখে এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগে যৌথ প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ ও সিইএসসি। বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা জানানো হয় বাসিন্দাদের।