কোঝিকোড়: কেরলের কোঝিকোড়ে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসা কর্মীদের সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ কোয়ারান্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দিল। ওই বিমান থেকে উদ্ধার ২ যাত্রীর করোনা পজিটিভ আসার পর এই সিদ্ধান্ত।


শুক্রবার কোঝিকোড় বিমানবন্দরে নামার সময় ১৯০ জন যাত্রী সহ ওই বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমানের ২ পাইলট সহ অন্তত ১৮ জন যাত্রীর এতে মৃত্যু হয়। বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বিমানের ২ আহত যাত্রী করোনা পজিটিভ। তাই যত সিআইএসএফ কর্মী ত্রাণে অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের কোয়ারান্টাইনে যেতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর যে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ছুটে এসে উদ্ধারে হাত লাগান, তাঁদেরও আগেই কোয়ারান্টাইনে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ত্রাণ কার্যে সহায়তা করা কর্মীদের প্রশংসা করেছে সিআইএসএফ, জানিয়েছে, তাঁদের পুরস্কৃত করা হবে।

অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, মৃতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে যাবতীয় জল্পনার ইতি টানার আবেদন করেন। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে বিমানের ব্ল্যাক বক্স ইতিমধ্যেই দিল্লি পাঠানো হয়েছে। অনেকে বলছেন, রানওয়েতে অতিরিক্ত রাবার জমা হওয়ার জেরে দুর্ঘটনা ঘটেছে। জল জমে থাকা, জলে বিমানের চাকা পিছলে যাওয়া এবং বিমানের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জেরেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার ডিজিসিএ-র সাবধানবাণীতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করার জেরেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে এক পক্ষ।

দুর্ঘটনার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যাত্রীদের অন্তত ৫০ জনকে রবিবার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৮ জন এখনও হাসপাতালে ভর্তি। এঁদের মধ্যে ১৫ জনের চোট গুরুতর।