কলকাতা : রাজ্যে তৃতীয়বার তৃণমূলের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে 'ঘর ওয়াপসি' হয়েছে একাধিক নেতার। আরও অনেকেই লাইনে রয়েছেন বলে জল্পনা। এরই মধ্যে গতকাল সন্ধেয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বৈশাখীর এই অবস্থান নিয়ে আজ কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বললেন, "ঘরে ঘরে পদ্ম, দিদিমণি জব্দ - গ্ল্যাক্সো বেবির ফুলটুসি তো এসব বলেই মিছিল করেছিলেন। এখন আমরা দেখছি, তাড়িয়ে দিল পদ্ম ফুলটুসি জব্দ। ভোটের আগে যাঁরা বলছিলেন কৈলাসজি, মেননজি, অমুক জি, তমুক জি এখন আবার পার্থদা, ববিদা - জি থেকে দাদায় ফিরে ঘুরঘুর ঘুরঘুর। আমরা সব বুঝি।"
গত রবিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ওইদিনই তাঁর বাড়ি যান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গতকাল তৃণমূল মহাসচিবের বাড়িতে যান শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত ৮টা ২৫ নাগাদ পার্থর বাড়িতে পৌঁছন শোভন-বৈশাখী। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে পার্থর বাড়িতে থাকেন তাঁরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছনোর পরই তৃণমূল মহাসচিবের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বৈশাখী। বাইরে দাঁড়িয়ে প্রথমে কথা বলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর তাঁদের নিয়ে ভেতরে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, যে ঘরে তাঁরা বসে কথা বলছিলেন সেখানে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি ছিলেন না।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বৈশাখী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী ওঁর বাকি তিন সহকর্মীর বিষয়ে যতটা চিন্তিত ছিলেন, শোভনের ক্ষেত্রেও ততটাই ছিলেন। শোভন গ্রেফতার হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পাশে ছিলেন। এই জন্য আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শোভনের আন্তরিকতার সম্পর্ক। তিনি শোভনের পরিবারের সদস্যের মতোই। একটা টালমাটাল নির্বাচনের পরই উনি বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। ওঁর থেকে অনেক আশা আছে। শোভনের কাছে দিদিমণির স্থান অথবা দিদিমণির কাছে কাননের স্থান কখনই বদলাবে না।"