রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : একশো দিনের কাজের প্রকল্পে আমরা-ওরা রাজনীতির অভিযোগ উঠল ভাঙড়ে। তৃণমূল নেতা তথা ভোগালি দুনম্বর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান মোদাসসের হোসেনের হুঁশিয়ারি, আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের তৃণমূলের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তা না করলে ফুরফুরা শরিফে গিয়ে একশো দিনের কাজ করতে হবে তাঁদের। তৃণমূল প্রধানের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক।
আবারও বিতর্কে তৃণমূল নেতা মোদাসসের হোসেন! সোমবার ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁর করা মন্তব্যে শোরগোল তৈরি হয়েছে। সরাসরি আইএসএফের নাম না নিলেও, নিশানায় কারা, তা তাঁর কথা থেকেই স্পষ্ট। তৃণমূল নেতা তথা ভোগালি দুনম্বর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান মোদাসসের হোসেন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছেন, 'যারা খামে ভোট দিয়েছে, তাদের আমাদের কাছে সারেন্ডার হতে হবে। না হলে তাঁদের ফুরফুরা শরিফে গিয়ে ১০০ দিনের কাজ করতে হবে। তাঁদের জন্য এখানে কাজ নেই।'
এবার বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেধে ভোটে লড়ে আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ। তৃণমূলকে হারিয়ে শুধুমাত্র ভাঙড় বিধানসভা আসনে জয়ী হয় তারা। ভোটের ফল বেরোনোর পর, এবার একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ পেতে হলে, ভাঙড়ের আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের সামনে শর্ত রাখলেন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান! আইএসএফ কর্মীদেরকে 'সারেন্ডার' করতে হবে বলেই হুমকি দিলেন তিনি।
১০০ দিনের কাজ নিয়ে ‘আমরা-ওরা’ করার ব্যাপারে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক তথা আব্বাস সিদ্দিকির ভাই নওশাদ। ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেছেন, 'এই ধরনের মন্তব্য সংবিধান পরিপন্থী। যাঁরা জনপ্রতিনিধি তাঁদের উচিত সবাইকে নিয়ে কাজ করা, সবাইকে পরিষেবা দেওয়া। কে আইএসএফ করেছে, কে অন্য দল করছে, সেটা দেখা তাদের কাজ নয়। প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির উচিত দলের ঊর্ধ্বে গিয়ে কাজ করা।'
সম্প্রতি বিরোধী দলের ১৮ জন কর্মী সমর্থককে সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে তৃণমূলের নামে পোস্টার পড়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের মহিষদা গ্রামে। তা নিয়ে বিতর্ক চরমে ওঠে। যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল শাসক দল।