পটনা : বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এ RJD-র ভরাডুবির পর থেকে ফাটল চওড়া হচ্ছে লালু প্রসাদ যাদবের পরিবারে। ভোটের ফল বেরনোর পরদিনই বিস্ফোরণ মন্তব্য করেছিলেন লালু-কন্যা রোহিণী আচার্য। রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা এক্স হ্যান্ডেলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এবার RJD প্রধানের আরও চার মেয়ে রাজলক্ষ্মী, রাগিনী, হেমা ও চন্দা নীরবে তাঁদের সন্তানদের নিয়ে পটনার বাড়ি ছাড়লেন। তাঁরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন। অনেকে মনে করছেন, বিহারের রাজনীতিতে সবথেকে প্রভাবশালী পরিবারে দূরত্ব বাড়ছে সম্পর্কের। পরিবার নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিতে দেখা যায় রাজলক্ষ্মী, রাগিনী ও চন্দাকে। সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রের খবর। অন্যদিকে, হেমা যাদবকেও দিল্লি যেতে দেখা যায়, সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রের খবর। গত দুই দিন ধরে পরিবারে যা চলছে তা নিয়ে তাঁরা বিরক্ত বলে সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর।
৭৫ থেকে একেবারে ২৫ আসনে নেমে এসেছে RJD। তারপর থেকেই লালু-পরিবারে ফাটল সামনে এসেছে। গণনার পরদিনই লালু-কন্যা রোহিণীর রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণায় এই অস্থিরতা-পর্ব শুরু। নিজের পোস্টে রোহিণী অভিযোগ তুলেছেন, তাঁকে "নোংরা গালিগালাজ" করা হয়েছে। এমনকী তিনি এও দাবি করেন যে, তেজস্বী যাদবের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী, বর্তমানে আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় যাদব এবং দীর্ঘদিনের সহযোগী রামিজের মধ্যে ঝগড়ার সময় কেউ একজন তাঁকে চটি দিয়ে মারতেও যান। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির আবহেই লালু ও রাবড়ির ১০ সার্কুলার রোডের বাড়ি ছাড়েন রাজলক্ষ্মী, রাগিনী ও চন্দা। যাদব পরিবার ঘিরে তৈরি হওয়া অস্থিরতার কারণে বোনেরা খুবই মর্মাহত। চলতি বছরেই দল ও পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন লালু-পুত্র তেজ প্রতাপ যাদব। রোহিণীর অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনিও। জনশক্তি জনতা দল-এর সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে তিনি পোস্ট করেছেন, "[তাঁর] হৃদয়কে একেবারে নাড়িয়ে দিয়েছে।" তিনি বলেন, তিনি নিজের উপর অনেক আক্রমণ সহ্য করেছেন। কিন্তু, তাঁর বোনকে অপমান করা হলে তা যে কোনও পরিস্থিতিতে অসহ্য হয়ে উঠবে। তিনি সতর্কবার্তা দেন এই বলে যে, "অবিচারের" পরিণতি কঠোর হবে এবং লালু যাদবের কাছে সরাসরি আবেদন করেন : "বাবা, আমাকে কেবল একবার ইঙ্গিত দিন, বিহারের মানুষ এই জয়চাঁদদের কবর দেবে।"