নয়াদিল্লি: হিমাচলের কিন্নরে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ১৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসছে বড় বড় পাথরের চাঁই। দুর্গম পথে আটকে রয়েছে বাস। প্রশাসনের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ITBP, NDRF ও পুলিশ। গতকাল দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ কিন্নরের নুগুলসারিতে ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। পাথরের চাঁই গড়িয়ে নেমে এসে পড়ে হাইওয়ে দিয়ে যাওয়া বাস ও গাড়ির ওপর। এখনও এই এলাকা বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে আবারও ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। 


কান ফাটানো শব্দ। চোখের সামনে ভেঙে পড়ছে পাহাড়। গড়িয়ে পড়ছে বিশাল বিশাল পাথর। যাত্রীবোঝাই বাস ও গাড়ির উপর পড়ল তারই কয়েকটা। হিমাচল প্রদেশের কিন্নরে পাহাড়ে ভয়াবহ ধস। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকে। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ কিন্নরের নুগুলসারিতে (Nugulsari) ধস নামে পাহাড়ে। পাথরের চাঁই গড়িয়ে নেমে এসে পড়ে হাইওয়ে দিয়ে যাওয়া বাস ও গাড়ির উপর। ধসে চাপা পড়ে থাকা Himachal Road Transport Corporation-এর বাসের চালক ও কন্ডাক্টরকে উদ্ধার করা গেলেও, ভিতরে আটকে পড়েন  ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী। তাঁদের উদ্ধারকাজে গতকালই নামে সেনা, ITBP, NDRF।


গতকালই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, কিন্নরে পাহাড়-ধসের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। উদ্ধারকাজে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জয়রাম ঠাকুরের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর।


সম্প্রতি কিন্নৌরে বড়সড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ৯ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিলে। এর পাশাপাশি স্থানীয় এক বাসিন্দা ও আরও তিনজন জখম হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, তাঁদের টেম্পোর ওপর ভারী ভারী বোল্ডার পড়ে যায় ধসের জেরে। কিন্নৌরের বাতসেরি-সাংলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।


এদিকে হিমাচলপ্রদেশে বারবার ধস এবং বন্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভূতাত্ত্বিকরা। এই রাজ্যে গত বছরের তুলনায় ধসের ঘটনা বেড়েছে ১১৬ শতাংশ। ১৩ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৩৫টি বড়সড় ধসের ঘটনা ঘটেছে।