ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার। জানা গিয়েছে, প্রায়ই দেরি করে বাড়ি ফিরতেন দিনমজুর অরবিন্দ আহিরওয়ার। আর এতেই রোজ ঝামেলা হত স্ত্রী শিবকুমারী আহিরওয়ারের সঙ্গে। ঘটনার দিনও ব্যতিক্রম কিছু ঘটেনি। প্রতিদিনের মতোই স্বামী দেরি করে বাড়ি ফেরেন। দুজনের মধ্যে এই নিয়ে সমস্যা হয়। পরিবারের সদস্যদের হস্তক্ষেপে তা মিটেও যায়।
কিন্তু কিছুতেই নিজেকে সংযত রাখতে পারছিলেন না ওই মহিলা। সেই রাগ ভিতরে ভিতরে পুষে রেখে বসেছিলেন শিবকুমারী। পুলিশ সূত্রে খবর, ভোর ৫টা নাগাদ গরম তেল স্বামীর মুখে ঢেলে দেন৩৫ বছর বয়সি ওই মহিলা। মুখে গরম তেল পড়তেই চিৎকার করে ওঠেন ওই ব্যক্তি। চিৎকার শুনেই তাঁদের ঘরে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। তৎক্ষণাত তাঁকে বুন্দেলখন্ড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গরম তেল ছুঁড়ে মারায় অরবিন্দের পুরো মুখ পুড়ে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি দেরি করে বাড়ি ফেরায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হয়। ভোরে সবাই যখন ঘুমোচ্ছিল, সেই সময় স্বামীর মুখে গরম তেল ছুঁড়ে মারেন ওই মহিলা। হাসপাতালে শুয়ে গোটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন অরবিন্দ। শিবকুমারীর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এদিকে অভিযুক্তের দাদার দাবি, এই ঘটনায় লজ্জিত শিবকুমারী। তবে পারিবারিক বা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার কি কেবলমাত্র মহিলারাই, এই প্রশ্ন তুলে দিল ঘটনাটি।