নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রে জোট সরকার গঠনের ব্যাপারে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে কথাবার্তার মধ্যেই হস্টেল ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পড়়ুয়াদের সংসদ ভবন অভিযান মোকাবিলায় দিল্লি পুলিশের ‘অমানবিক’ লাঠিচালনার নিন্দায় সরব শিবসেনা। কংগ্রেসের আমলে পড়ুয়াদের ওপর এমন আচরণ হলে এখনকার শাসক বিজেপি সংসদে শোরগোল করত, এবিভিপির মতো সংগঠন দেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিত বলেও দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’-র সম্পাদতীয়তে মন্তব্য করেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। তারা এও বলেছে, দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কেন্দ্রেরই।


সোমবার জেএনইউ কর্তৃপক্ষের হস্টেল ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সংসদ ভবনের দিকে মিছিল করে এগতে গেলে পুলিশের বাধা পায় পড়ুয়ারা। অভিযোগ, তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে পুলিশ, এমনকী লাঠির হাত থেকে রেহাই পাননি দৃষ্টিশক্তিহীন, প্রতিবন্ধী পড়ুয়ারা, কেন তাঁরা মিছিলে এসেছেন, সেই প্রশ্নও শুনতে হয়েছে। পুলিশ অবশ্য লাঠি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শিবসেনা বলেছে, যে পুলিশ বাহিনী চোখে দেখতে না পারা পড়ুয়াদের লাঠি মেরেছে, তারা কখনই মানুষের সেবক, আইনের রক্ষক হতে পারে না। অন্তত পড়ুয়াদের এভাবে পিষে দেবেন না। কোনও সরকারই এমন তাণ্ডব চালাতে পারে না।
যদিও পড়ুয়াদেরও সংযম, শৃঙ্খলা বজায় রাখা উচিত বলে অভিমত শিবসেনার। বলেছে, সোমবারের কর্মসূচির সময় পড়ুয়াদের ব্যারিকেড ভাঙা কেউই সমর্থন করবে না।

জেএনইউয়ের হস্টেল ফি বৃ্দ্ধিকে ‘অস্বাভাবিক চড়া’ আখ্যা দিয়ে শিবসেনা জানতে চেয়েছে, পড়ুয়াদের উদ্বেগ, দুর্ভাবনা দূর করতে সরকার কী করেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী তো পড়ুয়াদের কাছে গিয়ে তাদের ক্ষোভ বোঝার চেষ্টা করতে পারতেন।
পাশাপাশি শিবসেনা এও বলেছে, ডানপন্থী মতাদর্শ অনুসরণকারীদের অভিযোগ, জেএনইউ নকশালপন্থী, বামপন্থী মানসিকতার লোকজনের ‘ডেরা’। যদিও সেখান থেকেই বেরিয়েছেন নোবেল পুরস্কারজয়ী অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেশের শীর্ষ রাজনীতিক, বিশেষজ্ঞরা এবং তাঁদের কেউই দক্ষিণপন্থী মতাদর্শ মানেন না।