নয়াদিল্লি : জল্পনা ছিলই। বাকি ছিল শুধু আলোচনার ভিত্তিতে ঘোষণার। সেইমতোই এবার লোকসভায় বিরোধী দলনেতা নিযুক্ত হলেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার একথা জানালেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল।
I.N.D.I.A ব্লকের নেতাদের এদিন বৈঠক বসে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে। এর আগে লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরপরই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে রাহুলকে লোকসভায় বিরোধীদের নেতৃত্ব দেওয়ার সুপারিশ করার জন্য ভোট দিয়েছিল। যদিও সেই সময় রাহুল জানিয়েছিলেন, এনিয়ে তিনি পরে সিদ্ধান্ত নেবেন।
২০২৪-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস একাই ৯৯টি আসনে জয়লাভ করেছে। I.N.D.I.A ব্লকে যে সব দল রয়েছে তাদের মধ্যে কংগ্রেসই সর্বাধিক আসনে জিতেছে। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শিবিরে এবার তাদের জোরও বেশি হওয়ার কথা, এমনই বলছে রাজনৈতিক মহল। তাছাড়া লোকসভা বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়ার জন্য একটি রাজনৈতিক দলের ৫৫টির বেশি আসনে জয়লাভের প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের লোকসভা বিরোধী দলনেতা পদে নিয়োগ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে কারণ হচ্ছে। কারণ, ইতিমধ্যেই স্পিকার পদ নিতে বিস্তর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে গেছে শাসক ও বিরোধী শিবির।
লোকসভার স্পিকার কে হবেন ? তা নিয়ে এবার NDA-র সঙ্গে লড়াইয়ের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবির। স্পিকার পদের জন্য় বিজেপির সাংসদ ওম বিড়লার বিরুদ্ধে বিরোধীরা প্রার্থী করেছে কংগ্রেসের আটবারের সাংসদ কে সুরেশকে। এদিন রাহুল গাঁধী বুঝিয়ে দেন, ডেপুটি স্পিকারের পদ বিরোধীদের ছাড়া না হলে, স্পিকার পদ নিয়ে তাঁরাও লড়াইয়ে যাবেন। বুধবার সকাল এগারোটায় স্পিকার পদের জন্য় ভোটাভুটি হবে।
কথায় বলে, MORNING SHOWS THE DAY। অর্থাৎ সকাল দেখেই বোঝা যায়, দিন কেমন যাবে। সংসদে আগামী পাঁচ বছর মোদি সরকারের কেমন যাবে, সেটাও মঙ্গলবার বিরোধীদের আক্রমণাত্মক মনোভাবেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল। লোকসভার স্পিকার কে হবেন ? শুরুতেই তা নিয়ে NDA-র সঙ্গে লড়াইয়ের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবির। লোকসভার স্পিকার সাধারণত নির্বাচন ছাড়া, আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয়। কিন্তু, সংখ্য়ার বিচারে গত দশ বছরের তুলনায়, এবার লোকসভার চেহারা পাল্টাতেই, স্পিকার নির্বাচন নিয়ে ছবিটাও বদলে গেল। স্পিকার পদের জন্য় বিজেপির সাংসদ ওম বিড়লার বিরুদ্ধে বিরোধীরা প্রার্থী করল কংগ্রেসের আটবারের সাংসদ কে সুরেশকে। মঙ্গলবার সকালেই রাহুল গাঁধী বুঝিয়ে দেন, ডেপুটি স্পিকারের পদ বিরোধীদের ছাড়া না হলে, স্পিকার পদ নিয়ে তাঁরাও লড়াইয়ে যাবেন।
এদিকে, লোকসভার স্পিকার নির্বাচন নিয়ে বিরোধী শিবিরে কেটে গেছে জট। মমতা-রাহুল ফোনে ২০ মিনিট কথা হয়। তারপরেই কাটে জট।