ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ: পরিচারিক, পরিচারিকারা কাজ করুন, কিন্তু যেন নিজের বাড়ি এবং কাজের বাড়ির মধ্যে যাতায়াত বিশেষ না করেন তাঁরা। সম্ভব হলে, বুঝিয়ে পরিচারিকাকে বাড়িতেই রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
আনলক টু-এর জন্য গুরগাঁও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন যে নতুন গাইডলাইন নিয়ে এসেছে, এই পরামর্শটি তার মধ্যে বেশ অন্য রকমের। গাইডলাইনে কনটেনমেন্ট জোনগুলি ছাড়া বাকি এলাকায় অল্পবিস্তর নিয়মের ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে প্রচলিত নিয়মের একটা বড় অংশই বলবৎ থাকছে। সেগুলি মেনে চলতে হবে বাসিন্দাদের।
রাস্তায় বেরলে মুখে মাস্ক এখনও অবশ্য কর্তব্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে গাইডলাইনে। বলা হয়েছে, বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটবাড়ির প্রবেশপথে রাখতে হবে থার্মাল স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা। অতিরিক্ত তাপমাত্রা কারও দেহে দেখা দিলে তার প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত করতে হবে। ওই প্রবেশদ্বারেই হাত স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থাও যেমন চলছিল তেমন জারি রাখতে বলা হয়েছে।
পরিচারক বা পরিচারিকাকে সম্ভব হলে বুঝিয়ে তাকে বাড়িতেই রেখে দেওয়ার পরামর্শ যেমন দেওয়া হয়েছে, তেমনই এ কথাও বলা হয়েছে যে পরিচারক-পরিচারিকারা কোথায় থাকেন সে সম্পর্কে খুব ভালোভাবে খোঁজ নিতে হবে। তাঁরা যদি কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দা হন তাহলে তাঁদের এলাকায় আসতে দেওয়া যাবে না।
হরিয়ানায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পনেরো হাজার। এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলির মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে গুরগাঁও এবং ফরিদাবাদ। সে জন্যই রোগ যাতে না ছড়ায় তা দেখতে বার বার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে
গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের।পরিচারক-পরিচারিকাদের এলাকায় কাজে আসতে দেওয়া যাবে নাকি নয় এ প্রশ্ন বার বারই উঠে আসছিলো এলাকাবাসীর মধ্যে।বাড়ির কাজ-কর্ম করার জন্য অনেকেই নিয়মিত আসেন গুরগাঁও এলাকায়। সে জন্যই জারি করা হয়েছে এই নয়া গাইডলাইন।