নয়াদিল্লি: অভিযোগ জমা পড়েছিল বিদেশ থেকেও। শিশুমৃত্যুর দায় বর্তেছিল ঘাড়ে (Pharma License)। ভেজাল ওষুধ তৈরির অভিযোগ উঠেছিল ভারতীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে। তাতেই ওষুধ সংস্থাগুলির কার্যকলাপে রাশ টানার সিদ্ধান্ত। এ বার দেশের ১৮টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার লাইসেন্স বাতিল হল। ভারতে ওষুধ সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফে লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। দেশের ২০টি রাজ্যে ৭৬টি সংস্থার বিরুদ্ধে তল্লাশি-অনুসন্ধান চালিয়ে লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত (Medicine Manufacturing)।


মূলত উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলপ্রদেশের সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ


DCGI সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত ওষুধ প্রস্তুত সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেগুলি মূলত উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলপ্রদেশের। এর মধ্যে রয়েছে হিমায়ল মেডিটেক প্রাইভেট লিমিটেডও। দেহরাদূণের ওই সংস্থাকে অবিলম্বে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ওষুধ তৈরি বন্ধ করতে বলা হয় DCGI-এর তরফে। শুধু তাই নয়, হিমালয় মেডিটেক প্রাইভেট লিমিটেডের আরও ১২টি পণ্য়ের উপর নিষেধাজ্ঞা বসানো হয়েছে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে।


হিমাচলপ্রদেশের বড্ডিস শ্রী সাই বালাজি ফার্মাটেক প্রাইভেট লিমিটেড-কে ধরানো হয়েছে শোকজ নোটিস। ওষুধ তৈরিতে নিষিধাজ্ঞা বসানো হয় তাদের উপরও। যদিও পরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। হিমাচলে ইজি ফার্মাসিউটিক্যালস-কেও ধরানো হয়েছে শোকজ নোটিস। প্রথমে ওষুধ তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা বসানো হলেও, পরে তা তুলে নেওয়া হয়।


আরও পড়ুন: Retail Inflation: ভারতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কমল, ফেব্রুয়ারির পর কোথায় দাঁড়িয়ে গ্রাফ ?



এর পাশাপাশি, প্রায় শতাধিক ওষুধ প্রস্তুতকার সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে DCGI. হিমাচল প্রদেশের ৭৬টি, উত্তরাখণ্ডের ৪৫টি এবং মধ্যপ্রদেশের ২৩টি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে হিমাচলের অ্যাথেন্স লাইফ সায়েন্সেস-কেও। সতর্ক করা হয়েছে ল্য়াবোরেট ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডিয়া লিমিটেড-কে। শোকজও ধরানো হয়েছে তাদের। ওই সমস্ত সংস্থার বিরুদ্ধেও ওষুধে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ জমা পড়ে।

 

ওষুধ এবং প্রসাধনী তৈরিও বন্ধ রাখার নির্দেশ


এ ছাড়াও, হিমাচলের GNB Medica Lab-কে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, বিটা ল্যাকটাম ড্রাই সিরাপ, লিকুইড ইঞ্জেকশন, স্যাশে, প্রোটিন পাউডার তৈরি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। হিমাচলের Gnosis Pharmaceuticals PVT Limited-কে শোকজ করা হয়েছে, প্রসাধনী তৈরিও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। Nestor Pharmaceuticals Limited-কে গত ৩০ জানুয়ারি শোকজ করা হয়। তাদের ওষুধ এবং প্রসাধনী তৈরি বন্ধ করতে দেওয়া হয় নির্দেশ।