নয়া দিল্লি : প্রকাশ্যে চলে এসেছে লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীদের তথ্য। প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর ঠিকানা(অনলাইন ও ফিজিক্যাল), ভৌগলিক অবস্থান এবং বেতনের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে বলে গত জুন মাসেই জানা গিয়েছিল। যা ডার্ক ওয়েবে বিক্রি হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। এই আশঙ্কার মধ্যেই নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলল দিল্লির এক সাংবাদিকের ট্যুইট। তিনি লিখেছেন, লিঙ্কডইনে বড়সড় আকারে তথ্য ফাঁস হয়েছে। তাই দ্রুত নিজেদের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন।


এই মুহূর্তে লিঙ্কডইনের ৭৫৬ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছেন। জুনে জানা যায়, যার মধ্যে ৭০০ মিলিয়নের তথ্য প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ফোন নম্বর সহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন নথি হাতিয়ে নিয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় এক হ্যাকার। তার আগে এপ্রিল মাসে ৫০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর তথ্য লঙ্ঘনের কথা জানিয়েছিল লিঙ্কডইন। ই-মেল, ফোন নম্বর, কর্মস্থলের তথ্য, পুরো নাম, অ্যাকাউন্ট আইডি, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং লিঙ্গ-এই সব নানা তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসে।  


যদিও জুনে তথ্য লিক হওয়া হওয়া প্রসঙ্গে লিঙ্কডইন বলেছিল, তথ্য লঙ্ঘন হয়নি। নেটওয়ার্ক বর্জনের জেরে তথ্য বেরিয়েছে। এমনকী কোনও প্রাইভেট লিঙ্কডইন সদস্যের তথ্যও প্রকাশ্যে আসেনি বলে জানানো হয়। 


এদিকে আশঙ্কা ছড়ায়, ৭০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর তথ্য ডার্ক ওয়েবে বিক্রির জন্য রয়েছে। এমনকী ক্রেতাদের জন্য ১০ লক্ষ ব্যবহারকারীর স্যাম্পেল সেটও পোস্ট করে হ্যাকার। ডার্ক ওয়েবে প্রথম এই তালিকা লক্ষ্য করে রেস্টোরপ্রাইভেসি। ডার্ক ওয়েবে যে তথ্য লিক করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- ইমেল অ্যাড্রেস, পুরো নাম, ফোন নম্বর, ঠিকানা, লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীর নাম, প্রোফাইলড ইউআরএল, বেতন, পেশাগত অভিজ্ঞতা, ব্যাকগ্রাউন্ড লিঙ্গ, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ব্যবহারকারীর নাম।


রেস্টোরপ্রাইভেসি দাবি করে, লিঙ্কডইন এপিআই কাজে লাগিয়ে হ্যাকার এই সব নথি হাতিয়ে নিয়েছে। যদিও যেসব তথ্য বেরিয়েছে তার মধ্যে পাসওয়ার্ড নেই। এই তথ্যগুলি খুবই মূল্যবান। কারণ, এগুলি ব্যবহার করে অনলাইনে প্রতারণা শুরু হতে পারে। কাজেই, এনিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীরা।