ভারতরত্ন সম্মান পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। সোশাল মিডিয়ায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আডবাণীকে ফোন করে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী। 






শনিবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ খবরটি জানান মোদি। আডবাণীর সঙ্গে দুটি ছবি পোস্ট করে মোদি লেখেন, 'আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, শ্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীজিকে ভারতরত্নে সম্মান জানানো হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছি আমি। ভারতরত্ন সম্মানে পাওয়ার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। আমাদের সময়ের অন্যতম শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রনায়ক আডবাণীজি। ভারতের উন্নতির ক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখেছেন, তা অভাবনীয়। 


মোদি আরও লেখেন, 'একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। তিনিই উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের দেশের সেবা করেছেন। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে দেশসেবা করেছিলেন।'   


৮ নভেম্বর ১৯২৭ সালে করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন লালকৃষ্ণ আডবাণী ৷ ১৯৪২ সালে স্বয়ংসেবক হিসাবে RSS-এ যোগদান। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৩ পর্যন্ত দিল্লিতে জনসঙ্ঘের সচিব। ১৯৭০ সালে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন লালকৃষ্ণ আডবাণী। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে জনসঙ্ঘের সভাপতি হন ৷ ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত মোরারজি দেশাইয়ের সরকারে কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান তিনি ৷ অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে যৌথভাবে বিজেপি তৈরি করেন আডবাণী। ১৯৮০ থেকে ৮৬ পর্যন্ত বিজেপির মহাসচিবের দায়িত্ব সামলান৷ ১৯৮৬ সালের মে মাসে বিজেপির সভাপতি হন আডবাণী ৷  ১৯৮৮ সালে একই পদে পুনর্মনোনীত হন তিনি। ১৯৯০ সালে সোমনাথ থেকে লালকৃষ্ণ আডবাণীর দেশজোড়া রথযাত্রা বিজেপি-কে এক অন্য পরিচয় দেয়৷ বিজেপিকে ২টি আসন থেকে ৮২টি আসনে পৌঁছে দেওয়ার মূল কারীগর ছিলেন আডবাণীই৷ ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলান তিনি৷ ২০০৯ সালে আডবাণীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে লোকসভা নির্বাচনে লড়ে বিজেপি ৷ কিন্তু পরাজিত হয়।                         


আরও পড়ুন : 


'আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ওঁর পাশে আছি', হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব মমতা