অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: রাজ্য রেলমন্ত্রককে জানিয়ে দিল, করোনা গাইডলাইন মেনে রাজ্যে লোকাল ট্রেন, মেট্রো পরিষেবা চালু হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। গতকাল অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে চিঠি দিয়েছেন রেল বোর্ডে। রেল পরিষেবা চালু হলে তা কীভাবে, কী কী বিধি মেনে চালু হবে তা নিয়ে আগে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়ার জন্য রেল বোর্ডকে অনুরোধ করেছেন তিনি।


করোনা লকডাউনের জেরে ২২ মার্চের পর থেকে রাজ্যে বন্ধ ট্রেন পরিষেবা। এবার আনলক ফোরে ঘুরতে পারে ট্রেন-মেট্রোর চাকা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালু হলে তাঁদের আপত্তি নেই। এ ব্যাপারে চালানো নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও শুক্রবার এই বিষয়ে বৈঠক করেন শিয়ালদহ ডিভিশনের ডিআরএম। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে সব স্টেশনে বেশি যাত্রী ওঠানামা করবেন, সেখানে রাজ্য প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হবে, ওই সব স্টেশনে থার্মাল ক্যামেরা বসানোর চেষ্টা করা হবে, শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রতিদিন ১২১টি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে, রাজ্যের প্রস্তাব মানলে আরও ১০০টি ট্রেন চালাতে হবে। সব স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে সমস্যা হতে পারে, তাই অধিকাংশ ট্রেন গ্যালপিং করে চালানোর ভাবনা। ট্রেন চলার অনুমতি এলে, কার্যকর করতে ৪-৫দিন সময় লাগবে।

গতকাল অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদবকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, মেট্রো ও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করলে রাজ্যের অসুবিধে নেই। তবে দূরত্ববিধি মানা, কতজন ট্রেনে উঠতে পারবেন, কতগুলি ট্রেন চলবে, সংক্রমণ এড়াতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ ধরনের বিষয়গুলি ঠিক করতে হবে আলোচনা সাপেক্ষে। মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেন চালুর ক্ষেত্রে রাজ্যের চিঠি পেয়ে এমার্জেন্সি সার্ভিসের জন্য পরিষেবা চালু হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও রেল বোর্ড ইঙ্গিত দেয়, রাজ্য চাইলে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো চলতে পারে, তবে এ জন্য চিঠি দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এরপর রেল বোর্ড অর্থ মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ মেনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

রেল বোর্ড আগেই প্রতিটি জোনকে জানায়, ট্রেন চালানোর সম্ভাবনা হলেই রাজ্যের সঙ্গে যেন আলোচনা হয়। বিভিন্ন ডিভিশন কাল আলাদা আলাদা করে বৈঠক করেছে, কোন কোন বিষয়ে রাজ্যের সাহায্য বা পরামর্শ চাওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।