নয়া দিল্লি : মঙ্গলবার লোকসভায় পাশ হয়ে গেল সংবিধান সংশোধনী বিল ২০২১ । এই বিলে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চগুলিকে নিজস্ব ওবিসি তালিকা তৈরির ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার সংস্থান আছে। লোকসভায় এই বিল নিয়ে আলোচনার জন্য বিষয়টি উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন দফতরের মন্ত্রী বীরেন্দ্র কুমার। তিনি বলেন, এটা রাজ্যগুলিকে ওবিসি তালিকা তৈরির ক্ষমতা দেবে।


ওবিসি সম্প্রদায়ের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের। সেই কথার পুনরাবৃত্তি করে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, এই আইন দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করবে। 


এই বিলকে ঐতিহাসিক বিল বলে আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বলেন, দেশে ৬৭১টি জাত রয়েছে। তারা এই বিল থেকে উপকৃত হবে। বিলকে সমর্থন জানানোর কথা বলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, ওবিসি সম্প্রদায়ের স্বার্থে বিরোধীরা এই বিলের পক্ষে। ওবিসি-দের উন্নয়নের বিষয়ে কংগ্রেস সব সময় সামনের সারিতে। যদিও অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে এই বিল এনেছে।


উল্লেখ্য, দেশজুড়ে এখনই এনআরসি নয়, ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ ইন্ডিয়ান সিটিজেনসের ব্যাপারে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত সরকার নেয়নি বলে আজ সংসদে জানান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। যদিও তিনি জানিয়ে দেন, ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার বা এনআরপি আপডেট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১-এর প্রথম দফার আদম সুমারী অনুযায়ী সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট- ১৯৫৫-য় তা আপডেট করা হবে। 


এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র অসমে এনআরসি আপডেট করা হয়েছে। ২০১৯ সালে যখন এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়, সেই সময় দেখা যায়, ৩.৩ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ১৯.০৬ লক্ষকে অনাগত হিসেবে ধরা হয়েছে। যা ঘিরে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। মন্ত্রী বলেন, অসমে এনআরসি প্রস্তুতির প্রক্রিয়া নিয়ে কেউ যদি সন্তুষ্ট না হন তাহলে তিনি এই সংক্রান্ত নির্দেশের ১২০ দিনের মধ্যে ফরেনার্স ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারেন।