আর কয়েকদিন পরেই মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী । বিশ্বজুড়ে পালিত হবে দিনটি। তার ঠিক কয়েকদিন আগেই সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) লন্ডনের ঘটে গেল এক ন্যক্কারজনক ঘটনা। লন্ডনের ‘ট্যাভিস্টক স্কোয়ার’-এ ভাঙা হল মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি। তছনছ করা হল মহাত্মার মূর্তি। সেই সঙ্গে গ্রাফিতি করে লেখা হল  নানা ভারতবিরোধী মন্তব্য। বেদীর উপর বেশ কিছু উস্কানিমূলক মন্তব্যও পাওয়া গিয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে ।

Continues below advertisement

এই ঘটনাকে অত্যন্ত লজ্জাজনক কাজ ... অহিংসার ঐতিহ্যের উপর আক্রমণ, বলেছে ভারতীয় হাইকমিশন।স্থানীয় প্রশাসনকে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই হাইকমিশনের তরফে মৃর্তিটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাইকমিশন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে বলেছে, “লন্ডন-এ অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন ‘ট্যাভিস্টক স্কোয়ার’-এ স্থাপিত মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত এবং ভারত এর তীব্র নিন্দা করে।”

মহাত্মা গান্ধীর ঐতিহ্যের উপর একটি হিংসাত্মক হামলাভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, “এটি কেবল মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা নয়, আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসের তিন দিন আগে অহিংসার ভাবনা এবং মহাত্মা গান্ধীর ঐতিহ্যের উপর একটি হিংসাত্মক হামলা। আমরা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলেছি।  আমাদের টিম ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং মূর্তিটি মেরামতের জন্য স্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।” রাষ্ট্রসংঘ গান্ধী জয়ন্তীকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছে এবং প্রতি বছর ২ অক্টোবর লন্ডনে এই  স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। 

Continues below advertisement

ব্রোঞ্জ মূর্তির উন্মোচনইন্ডিয়া লিগের সহযোগিতায় নির্মিত এই ব্রোঞ্জ মূর্তিটি ১৯৬৮ সালে উন্মোচন করা হয়েছিল। গান্ধীজি লন্ডনে আইনের পড়াশোনা করেছিলেন। বেদীর উপরে শিলালিপিতে লেখা রয়েছে, ‘মহাত্মা গান্ধী, ১৮৬৯-১৯৪৮’। এই ঘটনাকে ভারতীয়দের আবেগ ও অহিংসার ভাবমূর্তির উপর আক্রমণ বলে মনে করছে ভারতীয় দীতাবাস। মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং স্থানীয় ক্যামডেন কাউন্সিলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন , তারা ঘটনার তদন্ত করছেন।